কর্ণাটকের মন্ত্রী শিবানন্দ পাটিল বিজয়পুরা বিধায়ক বসঙ্গৌড়া পাটিল যত্নালের নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। পাটিল জানিয়েছেন যে, তিনি যত্নালের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
Karnataka Politics: কর্ণাটকের মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা শিবানন্দ পাটিল শুক্রবার বিধানসভা অধ্যক্ষ ইউ টি খাদারের কাছে তাঁর ইস্তফা পেশ করেছেন। বিজয়পুরা শহরের বিধায়ক বসঙ্গৌড়া পাটিল যত্নাল তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরে পাটিল এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। পাটিল জানিয়েছেন যে, যত্নাল তাঁকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যে, তিনি বিজয়পুরা শহর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করবেন।
শিবানন্দ পাটিলের ইস্তফা: "প্রস্তাব গ্রহণ"
তাঁর ইস্তফাপত্রে পাটিল জানিয়েছেন যে, তিনি যত্নালের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং এখন তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাটিল স্পীকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, তাঁর ইস্তফা তখনই গ্রহণ করা হোক, যখন বসঙ্গৌড়া পাটিল যত্নালও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এবং তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করা হয়। এই বিবাদে পাটিল তাঁর ইস্তফার কারণ স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি যত্নালের প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করেছেন এবং এখন তিনি নির্বাচনী ময়দানে নামার জন্য প্রস্তুত।
কর্ণাটকের রাজনীতিতে নতুন মোড়
পাটিল, যিনি কর্ণাটক সরকারে বস্ত্র, আখ উন্নয়ন এবং কৃষি বিপণন বিভাগের মন্ত্রী, তাঁর ইস্তফার ফলে রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মোড় এসেছে। এই ইস্তফার পরে, রাজ্যের রাজনীতিতে অনেক প্রশ্ন উঠেছে যে, এই পদক্ষেপ কর্ণাটক কংগ্রেস পার্টির অবস্থাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে।
যত্নাল ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়পুরা শহর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু পার্টির শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের কারণে বিজেপি সম্প্রতি তাঁকে ছয় বছরের জন্য পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে। এই ঘটনার পর পাটিল তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং এখন প্রশ্ন উঠছে যে, কর্ণাটকে এই নির্বাচনী ঘটনাপ্রবাহের বিজেপি এবং কংগ্রেসের রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে।
স্পীকারের প্রতিক্রিয়া
স্পীকার খাদার পাটিলের ইস্তফার বিষয়ে বলেছেন যে, এটি সংবিধান ও বিধি অনুযায়ী যাচাই করা হবে। এই প্রক্রিয়ার পরেই পাটিলের ইস্তফার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।