আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহমন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি চেয়েছে, ইডি-র প্রতিবেদনে মামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সত্যেন্দ্র জৈন: আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা এবং দিল্লি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র কুমার জৈনের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শুরু করার জন্য অভিযোগ অনুমোদন দেওয়ার অনুরোধ করেছে। মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ২১৮ অনুযায়ী এই অনুরোধ করেছে।
ইডি-র প্রতিবেদনে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে
সূত্রের খবর, প্রয়োগ নির্দেশালয় (ইডি)-এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইডি তাঁদের তদন্তে হাওয়ালা লেনদেন এবং মানি লন্ডারিং-এর সাথে জড়িত গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইডি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে
প্রয়োগ নির্দেশালয় মে ২০২২ সালে মানি লন্ডারিং-এর মামলায় সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তিনি জামিন পেয়েছিলেন, কিন্তু ইডি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে জৈন কথিতভাবে ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছেন।
আয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তির মামলা
এই মামলার শুরু ২০০১৭ সালের আগস্টে দায়ের হওয়া CBI-এর FIR-এর সাথে জড়িত, যেখানে সত্যেন্দ্র জৈনের উপর আয়ের চেয়ে বেশি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। CBI ডিসেম্বর ২০১৮ সালে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে ২০১৫ সালে জৈনের পরিচিত আয়ের উৎসের তুলনায় তাঁর সম্পত্তি ২০৭% বেশি ছিল। তদন্তকারী সংস্থাগুলি দাবি করেছে যে এই সম্পত্তির পরিমাণ ১.৪৭ কোটি টাকার বেশি, যা কথিতভাবে অবৈধ অর্থের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
এই মামলা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। বিজেপি এটিকে দুর্নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা বলে উল্লেখ করেছে, অন্যদিকে আপ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে অভিহিত করেছে। এখন দেখার বিষয় হল রাষ্ট্রপতি এই মামলায় অভিযোগ অনুমোদন দেবেন কিনা। যদি অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হতে পারে।