সমাজবাদী পার্টির সম্প্রীতি অনুষ্ঠান: ২০২৭-এর নির্বাচনের ইঙ্গিত?

সমাজবাদী পার্টির সম্প্রীতি অনুষ্ঠান: ২০২৭-এর নির্বাচনের ইঙ্গিত?
সর্বশেষ আপডেট: 10-04-2025

সমাজবাদী পার্টি (সপা)-এর একটি বিশেষ সম্প্রীতি অনুষ্ঠানে গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতির এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত দেখা গেছে। এই অনুষ্ঠানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ এবং খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগুরু, পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

লখনউ: উত্তর প্রদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে, এবং এই পরিবেশেই সমাজবাদী পার্টি (সপা) লখনউতে একটি বৃহৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মিশন ২০২৭’-এর দিকে তাদের পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে। বুধবার সপা সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘হোলি-ঈদ মিলন সম্প্রীতি সমারোহ’-এর আড়ালে দলটি ধর্ম, জাতি এবং সম্প্রদায়ের বাইরে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে।

এই উপলক্ষে সপা সভাপতি অখিলেশ যাদব মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে বলেছেন যে আমাদের দেশ গঙ্গা-যমুনা সংস্কৃতির প্রতীক। আমরা সবাই একসাথে উৎসব পালন করি এবং এটাই ভারতের সৌন্দর্য। অনুষ্ঠানে তাঁর স্ত্রী এবং মৈনপুরী সাংসদ ডিম্পল যাদবও উপস্থিত ছিলেন।

সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের উপস্থিতি, ঐক্যের বার্তা

অনুষ্ঠানে হিন্দু, মুসলিম, শিখ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরুরা অংশগ্রহণ করেন। মাওলানা খালিদ রশীদ ফিরঙ্গি মাহালী থেকে শুরু করে পণ্ডিত রবীন্দ্র দীক্ষিত, গিয়ানি গুরমেহর সিং, ফাদার ডোনাল্ড ডিসুজা এবং স্বামী ওমা দা আক পর্যন্ত প্রতিটি পন্থের প্রতিনিধি মঞ্চে একসাথে বসে এবং একে অপরকে হোলি ও ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এই উদ্যোগ কেবলমাত্র ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতীকই নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে সপা কর্তৃক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির কৌশলকেও চিহ্নিত করে।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান পিয়ানোবাদক ব্রায়ান সিলাসের উপস্থাপনা সকলকে মুগ্ধ করে। তিনি লতা মঙ্গেশকর, অনুরাধা পৌড়োয়াল এবং আরও অনেক প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকের সুর পিয়ানোতে বাজিয়ে ঐক্যের এক অনন্য সুর সৃষ্টি করেন।

মিশন ২০২৭-এর ভিত্তি প্রস্তুত?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অনুষ্ঠান কেবলমাত্র একটি ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ নয় বরং ২০২৭ নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক সমীকরণকে শক্তিশালী করার কৌশলের অংশ। সপা যেখানে একদিকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার জবাব দিতে চায়, সেখানে অন্যদিকে মুসলিম, দলিত, ব্রাহ্মণ এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মধ্যে তাদের সামাজিক বন্ধন পুনরায় সুদৃঢ় করতে চায়।

অনুষ্ঠানে ধর্মগুরু এবং বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন

মাওলানা খালিদ রশীদ ফিরঙ্গি মাহালী (ইমাম, ঈদগাহ ऐशबाग)
মাওলানা ইয়াকুব আব্বাস, মাওলানা ফজলে মন্নান (টিলেওয়ালি মসজিদ)
শ্রী গিয়ানি গুরমেহর সিং (হেড গ্রন্থি, গুরুদ্বার)
ফাদার ডোনাল্ড ডিসুজা
মাওলানা কালবে সিবতাইন নূরী (শিয়া চাঁদ কমিটি সভাপতি)
পণ্ডিত রবীন্দ্র দীক্ষিত
স্বামী ওমা দা আক
অধ্যাপক নায়ের জালালপুরী (যশ ভারতী সম্মানিত)
ডাঃ সাবিরা হাবিব, অধ্যাপক দীনেশ কুমার, অধ্যাপক বন্দনা
মাওলানা ফখরুল হাসান নদভী, মাওলানা সাইফ আব্বাস
মাওলানা আরিফ জহুর, হাফিজ সাইদ আহমদ
শ্রীমতী তাহিরা হাসান, শ্রীমতী কামর রহমান প্রমুখ।

Leave a comment