রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) আজ নতুন ওয়াকফ আইনকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আবেদন দাখিল করতে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এই আবেদন রাজ্যসভা সাংসদ মনোজ ঝা এবং জ্যেষ্ঠ নেতা ফয়াজ আহমেদ দাখিল করবেন।
সুপ্রিম কোর্ট: কেন্দ্র সরকার কর্তৃক গৃহীত ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা বেড়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD) এই বিতর্কিত আইনকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজ্যসভা সাংসদ মনোজ ঝা এবং দলের নেতা ফয়াজ আহমেদ সোমবার শীর্ষ আদালতে আবেদন দাখিল করবেন।
এই আইন সংসদের উভয় কক্ষ থেকে পাশ হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর এখন আইন হয়ে গেছে। কিন্তু বিরোধী দল এবং মুসলিম সংগঠনগুলি এটিকে সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করছে।
মনোজ ঝা বলেন – এই আইন সৌহার্দ্যের উপর আক্রমণ
RJD সাংসদ মনোজ ঝা মিডিয়ার সাথে কথোপকথনে বলেছেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংবিধানের মূল আত্মার লঙ্ঘন করে। এটি শুধু একটি আইন নয়, বরং দেশের সামাজিক ঐক্যের উপর আক্রমণ। আমরা আশা করি সুপ্রিম কোর্ট এই আইনের উপর দ্রুত এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে। ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ছয়টি আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং সম্পত্তির রক্ষার দাবি করা হয়েছে। RJD-এর আবেদন এই আইনগত লড়াইকে রাজনৈতিক শক্তি প্রদান করতে পারে।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড দেশব্যাপী প্রতিবাদী কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে
এদিকে, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডও কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে ১১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। বোর্ডের মতে এই আইন মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক পরিচয়ে আঘাত করে। RJD সহ অন্যান্য বিরোধী দলের অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তির উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির চেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের দাবি, সরকার “উন্নয়ন”-এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করতে চায়।
কি ওয়াকফ আইনের বিতর্ক?
যদিও ওয়াকফ আইনকে আইনসভা অনুমোদন দিয়েছে, তবে এটি কার্যকর করার জন্য কেন্দ্র সরকার কর্তৃক অধিসূচনা জারি করা বাকি আছে। এই অধিসূচনাটিই ঠিক করবে আইন কখন থেকে কার্যকর হবে। ধারণা করা হচ্ছে, অধিসূচনা জারির সাথে সাথেই দেশব্যাপী প্রতিবাদ আরও তীব্র হতে পারে। সংশোধিত আইনের অধীনে ওয়াকফ বোর্ডকে প্রদত্ত কিছু স্বায়ত্তশাসিত ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি হস্তক্ষেপের অধিকার দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই পরিবর্তন সংবিধানের ২৫ এবং ২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং স্বশাসনের অধিকার লঙ্ঘন করে।
