রাঁজ ठाकरের বড় বক্তব্য: ठाकरে-পাওয়ার ব্র্যান্ড ধ্বংসের চেষ্টা চলছে

রাঁজ ठाकरের বড় বক্তব্য: ठाकरে-পাওয়ার ব্র্যান্ড ধ্বংসের চেষ্টা চলছে
সর্বশেষ আপডেট: 24-05-2025

মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ठाकरে বড় বক্তব্য দিয়ে অভিযোগ করেছেন যে, মহারাষ্ট্র থেকে ठाकरে এবং পাওয়ার ব্র্যান্ডকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরোক্ষভাবে বিজেপির সমালোচনা করেছেন।

মুম্বাই: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একবার আবার মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এর প্রধান রাজ ठाकरে বড় বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন। রাজ ठाकरে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, বর্তমানে মহারাষ্ট্র থেকে ठाकरে এবং পাওয়ার পরিবারের ব্র্যান্ডকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু তিনি দাবি করেন যে এই ব্র্যান্ড কখনোই ধ্বংস হতে পারবে না। তার এই বক্তব্য পরোক্ষভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তাদের সহযোগীদের কৌশলকে লক্ষ্য করে বলে মনে করা হচ্ছে।

ठाकरে-পাওয়ার ব্র্যান্ডের উপর বিপদের আশঙ্কা

‘মুম্বই তক’ নামক এক অনুষ্ঠানে রাজ ठाकरে এই কথা বলেছেন। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি ठाकरে এবং পাওয়ার নামের ব্র্যান্ডকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে, তখন তিনি দ্বিধা ছাড়াই তা নিশ্চিত করে বলেছেন, इसमें কোনো সন্দেহ নেই যে ठाकरে-পাওয়ার ব্র্যান্ডকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। অবশ্যই, কিন্তু এটি ধ্বংস হবে না।

রাজ ठाकरের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, তিনি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নিজের পরিবার এবং পাওয়ার পরিবারের পরিচয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেছেন যে, যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, এই দুটি ব্র্যান্ডের গভীর শিকড় রয়েছে, যা মুছে ফেলা যাবে না। এই রাজনৈতিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রভাবশালী, এবং তাদের সমর্থকদের আস্থা এখনও দৃঢ়।

হিন্দি ভাষা নিয়ে খোলা মোর্চা

রাজ ठाकरে এর আগেও মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন শিক্ষানীতিতে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক ভাষা করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, মহারাষ্ট্রে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করা হবে না। এই বিষয়ে তিনি মারাঠি ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য মোর্চা খুলেছিলেন, যা তাঁর রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

হিন্দিকে তৃতীয় বাধ্যতামূলক ভাষা করার সরকারের প্রচেষ্টার বিরোধিতার পরে অবশেষে সরকার এই সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ ठाकरের छবি মারাঠিদের স্বার্থের প্রকৃত রক্ষাকর্তা হিসাবে আরও দৃঢ় হয়েছে।

রাজ ठाकरে এবং উদ্ধব ठाकरের রাজনৈতিক সমীকরণ

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে যে, রাজ ठाकरে এবং শিবসেনা (ইউবিটি)-এর প্রধান উদ্ধব ठाकरে একসাথে আসতে পারেন। দুই নেতার মধ্যে সমন্বয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শিবসেনা (ইউবিটি) স্পষ্ট করে বলেছে যে, যদি রাজ ठाकरে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন, তাহলে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকবে না।

শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তেও দাবি করা হয়েছে যে, রাজ ठाकरে মারাঠি জনতার স্বার্থের জন্য কাজ করে চলেছেন, এবং শিবসেনার জন্মও মারাঠিদের স্বার্থের জন্য হয়েছিল। উদ্ধব ठाकरেও এই দিকে কাজ করেছেন, তাই তাদের মধ্যে মিলন সম্ভব। রাজ ठाकरে এবং উদ্ধব ठाकरের একসাথে আসার সম্ভাবনায় রাজনৈতিক বিরোধীদের উদ্বেগ বেড়েছে। ‘সামনা’ এটিকে মহারাষ্ট্রবিরোধী শক্তিদের জন্য বড় ধাক্কা বলে বর্ণনা করেছে।

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ

রাজ ठाकरের বক্তব্য এবং শিবসেনা (ইউবিটি)-এর সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ হওয়ার খবরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক চিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিজেপির আধিপত্যের মধ্যে মারাঠি রাজনৈতিক দলগুলির পুনরায় আবির্ভাবের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে। রাজ ठाकरের শক্তি তাঁর মারাঠি পরিচয় এবং স্থানীয় জনসমর্থনে নিহিত, যখন উদ্ধব ठाकरের নেতৃত্বাধীন শিবসেনারও ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। দুজনের একত্রীকরণ মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, যার ফলে বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

Leave a comment