রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্র নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনলেন। নির্বাচন কমিশন তা অমূলক ও প্রমাণহীন বলে উল্লেখ করে অভিযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছে।
ECI On Rahul Gandhi Allegation: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির উপর ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ আনেন। নির্বাচন কমিশন তা অমূলক ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে বলেছে, এ ধরণের অভিযোগ গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার অপমান। কমিশন রাহুল গান্ধীর অভিযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়ে বলেছে যে, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনে রাহুল গান্ধী ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ আনলেন
লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি দাবি করেন, এই নির্বাচন ছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো, যেখানে বিজেপি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করে জয় নিশ্চিত করেছে। রাহুল গান্ধী একটি প্রবন্ধ লিখেছেন, যেখানে তিনি এই অভিযুক্ত অনিয়মের বিভিন্ন ধাপের উল্লেখ করেছেন।
তার অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে, ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার যুক্ত করা হয়েছে, ভোটগ্রহণের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিজেপির জয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্য করে ভুয়ো ভোট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, এগুলি ছিল অনিয়মের নকশা, যা মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীর অভিযোগগুলি খারিজ করে দিয়েছে
নির্বাচন কমিশন (ECI) ৭ই জুন, ২০২৫, শনিবার রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তা ভিত্তিহীন ও অমূলক বলে উল্লেখ করে। কমিশন স্পষ্ট করে বলেছে যে, মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকা নিয়ে আগেই কংগ্রেসকে উত্তর দেওয়া হয়েছে, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে, বারবার এ ধরণের অভিযোগ আনা আইনের শাসনের অপমান এবং এতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত হাজার হাজার কর্মকর্তা ও কর্মীর পরিশ্রমের উপর প্রশ্ন উঠে। কমিশন এই ধরণের ভুল তথ্য ছড়ানোকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছে।
নির্বাচন কমিশন বলেছে – অভিযোগ আনার ফলে ক্ষতি হয়
নির্বাচন কমিশন বলেছে, এ ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ শুধুমাত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করে না, বরং হাজার হাজার নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মীকেও হতাশ করে, যারা কঠোর পরিশ্রম করে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে।
কমিশন এটাও বলেছে যে, জনগণের রায়ের পর নির্বাচন কমিশনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা সম্পূর্ণ অমূলক ও ভুল। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরূপে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ এবং কোনও ধরণের অনিয়ম বা জালিয়াতির অভিযোগ ঠোস প্রমাণ ছাড়া করা যায় না।