ভাগলপুরের জনসভায় প্রশান্ত কিশোর বলেছেন যে, গত ১০ বছরে যাদের হাত ধরেছেন, তারাই নেতা হয়ে উঠেছেন। এখন তিনি বিহারের জনতার হাত ধরতে চান যাতে তাদের জীবন বদলে যেতে পারে।
ভাগলপুর, বিহার। জন সুরাজ অভিযানের অধীনে প্রশান্ত কিশোর গত বৃহস্পতিবার ভাগলপুরের নবগছিয়ায় একটি বিশাল জনসভাকে সম্বোধন করেন। এ সময় তিনি শুধুমাত্র নিজের রাজনৈতিক যাত্রা নয়, জনতাকেও একটি সরাসরি বার্তা দিয়েছেন – "যার হাত ধরেছি, সেই রাজা হয়েছে। এবার বিহারের জনতার পালা।"
সাধারণ পরিবার থেকে অসাধারণ যাত্রা
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, "আমি কোনও ঐতিহ্যবাহী নেতা নই। আমার জন্ম বিহারের একটি সাধারণ পরিবারে। আমার দাদা গরুর গাড়ি চালাতেন, মজুরি করতেন এবং আমার পিতা একজন সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। আমি ১০ বছর ধরে দেশের বড় নেতা এবং দলগুলির জন্য কৌশল তৈরি করেছি এবং তাদের ক্ষমতায় পৌঁছে দিয়েছি।"
“নেতাদের নয়, এবার জনতার জয় চাই”
PK স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি তিন বছর আগে কৌশলীবিদের কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন কারণ নেতাদের জেতানোর মাধ্যমে জনতার জীবন বদলায় না। "যদি ঈশ্বর আমাকে সেই বুদ্ধি দিয়ে থাকেন যার দ্বারা আমি নেতাদের ভাগ্য বদলাতে পারি, তাহলে কেন এখন আমি বিহারের মানুষের হাত ধরব না এবং তাদের জীবন বদলে দেব না," তিনি বলেছেন।
বিহার নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনের
প্রশান্ত কিশোরের এই জনসভা এমন সময় হয়েছে যখন নির্বাচন কমিশনও বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করেছে। সূত্র মতে, ইসিআই ২০০ জনের বেশি বুথ লেভেল এজেন্টকে দিল্লিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে যাতে নির্বাচন ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
কে কে রয়েছেন মাঠে?
বিহারে এবার এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোটের মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এনডিএ-তে জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং বিজেপি রয়েছে, অন্যদিকে মহাজোটে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দল একসাথে লড়াই করবে।
