পালগম হামলার পর ভারতের S-400 বনাম পাকিস্তানের HQ-9: কোনটি বেশি শক্তিশালী?

পালগম হামলার পর ভারতের S-400 বনাম পাকিস্তানের HQ-9: কোনটি বেশি শক্তিশালী?
সর্বশেষ আপডেট: 09-05-2025

পালগম সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারও চরমে পৌঁছেছে। এই হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তানের সীমান্তের ভিতরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে তা ধ্বংস করে দেয়।

ভারতের S-400 বনাম চীনের HQ-9: পালগম সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। ভারত এবার শুধুমাত্র জবাব দেয়নি, বরং এমন জবাব দিয়েছে যা দেখে বিশ্ব অবাক হয়েছে। অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) থেকে শুরু করে পাকিস্তানের ভিতরে ৯টি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করে দেয়। পাকিস্তান প্রতিশোধের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতের S-400 সুদর্শন চক্র তার আশাকে পানি ঢেলে দিয়েছে। এমনকি, এই সময় পাকিস্তানের চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ধ্বংস হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন উঠছে যে, ভারতের S-400 এবং পাকিস্তানের HQ-9-এর মধ্যে কোনটি বেশি শক্তিশালী? S-400 কি সত্যিই HQ-9 কে পরাজিত করতে পারে? আসুন, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে জেনে নেওয়া যাক কোন সিস্টেম যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হয়।

ভারতের S-400 সুদর্শন চক্র: আকাশ থেকে ধ্বংস বর্ষণকারী যোদ্ধা

S-400 ট্রায়াম্ফ সিস্টেম ভারত রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে এবং এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। এই সিস্টেম আধুনিক যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।

মুখ্য বৈশিষ্ট্য

  • পরিসর: S-400 শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তুকে ৪০০ কিমি পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারে।
  • রডার ক্ষমতা: এটি ৬০০ কিমি দূর থেকে উড়ন্ত বিপদ সনাক্ত করতে পারে।
  • লক্ষ্যবস্তু অনুসরণ: একসাথে ১০০ টি লক্ষ্যবস্তু অনুসরণ করতে সক্ষম।
  • আক্রমণ ক্ষমতা: একসাথে ৩৬ টি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে।
  • পথ নির্দেশ সিস্টেম: এতে সক্রিয় এবং অর্ধ-সক্রিয় রডারের সাথে TVM (Track via Missile) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

S-400 ভারত রণনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করেছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্তে এই সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।

পাকিস্তানের HQ-9: চীনা প্রযুক্তি, কিন্তু প্রভাব কম

HQ-9 সিস্টেম চীনে তৈরি দীর্ঘ-পরিসরের ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা পাকিস্তান সম্প্রতি গ্রহণ করেছে। এই সিস্টেম চীনের S-300 এবং রাশিয়ান প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি।

মুখ্য বৈশিষ্ট্য

  • পরিসর: HQ-9-এর আঘাত হানার ক্ষমতা ১২৫ থেকে ২৫০ কিমি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
  • রডার সনাক্তকরণ: ১৫০-২০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে পারে।
  • লক্ষ্যবস্তু অনুসরণ: একসাথে ১০০ টি লক্ষ্যবস্তু অনুসরণ করার ক্ষমতা, কিন্তু আক্রমণ করতে পারে মাত্র ৮-১০ টি লক্ষ্যবস্তুতে।
  • পথ নির্দেশ সিস্টেম: অর্ধ-সক্রিয় রডার এবং TVM প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে।

সাম্প্রতিক সংঘাতে HQ-9 পাকিস্তানের বায়ু প্রতিরক্ষার পুরো কাহিনী উন্মোচন করেছে। ভারতের নির্ভুল আঘাত এবং S-400 এর প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ কয়েক মিনিটের মধ্যেই এটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।

S-400 বনাম HQ-9

বৈশিষ্ট্য S-400 (ভারত) HQ-9 (পাকিস্তান)
সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু অনুসরণ ১০০ ১০০
সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত ৩৬ ৮-১০
রডার সনাক্তকরণ পরিসর ৬০০ কিমি ১৫০-২০০ কিমি
আঘাত হানার পরিসর ৪০-৪০০ কিমি ২৫-১২৫ কিমি
ক্ষেপণাস্ত্র পথ নির্দেশনা সক্রিয়/অর্ধ-সক্রিয় রডার, TVM অর্ধ-সক্রিয় রডার, TVM
যুদ্ধে পরীক্ষিত হ্যাঁ হ্যাঁ

এইবারের সংঘর্ষে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা যথেষ্ট নয়, তার রণনৈতিক ব্যবহার এবং গোয়েন্দা তথ্যও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের S-400 যেখানে রডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর সন্ধান পেয়ে দূর থেকেই বিপদ নিরসন করতে সক্ষম, সেখানে পাকিস্তানের HQ-9 সীমিত দূরত্ব এবং কম আক্রমণ ক্ষমতার কারণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

Leave a comment