মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস বলেন, ওরাঙ্গজেবের কবর সরাতে চান, কিন্তু এটি ASI দ্বারা সংরক্ষিত। কংগ্রেস BJP-কে আক্রমণ করেছে, অন্যদিকে শিবেন্দ্রাজে ভোঁসলে কবর সরানোর দাবি জানিয়েছেন।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রের সংভাজিনগরে ওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, কংগ্রেস, শিবসেনা, এমএনএস সহ বহু দল এ বিষয়ে তাদের মতামত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস বলেছেন, তাঁর সরকারও কবর সরানোর ইচ্ছুক, কিন্তু এটি ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব জরিপ (ASI) দ্বারা সংরক্ষিত স্থান, যা কংগ্রেস সরকারের আমলে সংরক্ষণ পেয়েছিল।
BJP-কংগ্রেসের মধ্যে বিতর্ক
কংগ্রেস এই বিষয়ে BJP-কে ঘেরাও করেছে। কংগ্রেস নেতা নানা পাটোলে বলেছেন, ফড়নবিস তিনবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তবুও কংগ্রেসের উপর অভিযোগ করা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, সরকারের এখন পুরো অধিকার আছে, তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
BJP নেতাদের বক্তব্য- কবর সরানো জরুরি
BJP নেতা সুধীর মুঙ্গান্টিওয়ার বলেছেন, যখন তিনি আফজল খানের কবর থেকে অবৈধ দখলদারিত্ব সরিয়েছিলেন, তখন এই বিষয়েও তাঁর স্পষ্ট অবস্থান ছিল। তিনি বলেছেন, মহাভিকাস আঘাড়ি সরকার ওরাঙ্গজেবের কবর রাখতে চেয়েছিল, অন্যদিকে BJP তা সরানোর পক্ষে। শিবসেনা নেতা শম্ভুর্জে দেসাই বলেছেন, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আলোচনা করবেন।
শিবাজীর বংশধররাও কবর সরানোর পক্ষে
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের বংশধর শিবেন্দ্রাজে ভোঁসলেও কবর সরানোর দাবির সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রে ওরাঙ্গজেবের কবরের কোনো স্থান নেই এবং এতে কারোর অস্বস্তি বোধ করা উচিত নয়।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) নেতা বালা নান্দগাঁওকার বলেছেন, শিবাজী মহারাজ ও সংভাজী মহারাজের উপর অত্যাচারকারী ওরাঙ্গজেবের কবর মহারাষ্ট্রে থাকা উচিত নয়।
আবু আজমির বক্তব্যে বিতর্ক বৃদ্ধি
সপা নেতা আবু আজমি ওরাঙ্গজেবের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, তাঁকে নিষ্ঠুর শাসক বলা ভুল। তিনি অভিযোগ করেছেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর ভুল চিত্র তৈরি করা হচ্ছে। তবে, বিতর্ক বৃদ্ধির পর তিনি স্পষ্টীকরণ দিয়ে বলেছেন যে, তিনি শিবাজী মহারাজ ও সংভাজী মহারাজের বিরুদ্ধে কিছু বলার কল্পনাও করতে পারেন না। তিনি তাঁর বক্তব্য বিকৃত করে তুলে ধরার অভিযোগ করেছেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
আবু আজমির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
আবু আজমির বক্তব্য নিয়ে মহারাষ্ট্রের থানেতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তব্যের ফলে রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং ওরাঙ্গজেবের কবর নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
