নয়ডার কনস্টেবল সৌরভের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাংসদ চন্দ্রশেখর পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং CBI তদন্তের দাবী জানিয়েছেন। তিনি নির্দোষদের হয়রানি না করার আবেদন জানিয়েছেন।
UP News: নয়ডা পুলিশের কনস্টেবল সৌরভের হত্যার ঘটনা এখন রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। নগীনা থেকে লোকসভা সাংসদ এবং ভীম আর্মি-র প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ এই ঘটনায় CBI তদন্তের দাবী জানিয়ে পুলিশের উপর নির্দোষদের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ আনেন।
শুক্রবার চন্দ্রশেখর গাজিয়াবাদের মাসুরি থানা এলাকার নাহাল গ্রামে যান, যেখানে কনস্টেবল সৌরভের হত্যার পর থেকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেখানে তিনি গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা শুনেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলেন যে পুলিশ গোটা গ্রামকেই অপরাধী প্রমাণ করতে উদ্যত।
CBI তদন্তের দাবী উঠল
সংবাদমাধ্যমের সাথে কথোপকথনে চন্দ্রশেখর আজাদ বলেন, "যদি পুরো গ্রামই অপরাধী হয়, তাহলে সবাইকে জেলে ভর্তি করে দাও। নির্দোষ মানুষদের হয়রানি করো না। পুলিশের কার্যক্রম একপাক্ষিক এবং অত্যাচারপূর্ণ। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত এবং তার জন্য CBI তদন্তের প্রয়োজন।"
তিনি আরও বলেন যে, গ্রামে স্থাপিত CCTV ক্যামেরার ফুটেজ জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা উচিত যাতে সত্য সামনে আসে। চন্দ্রশেখরের অভিযোগ, পুলিশ গ্রামের যুবকদের জোর করে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করছে, যার ফলে গোটা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
ঘটনা কি?
২৫শে মে রাতে নয়ডা কমিশনারেটের থানা ফেজ-৩-এর পুলিশ দল একজন আসামী কাদেরকে ধরার জন্য গাজিয়াবাদের মাসুরি থানা এলাকার নাহাল গ্রামে যায়। কাদেরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধমূলক মামলা রয়েছে এবং সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
যখন পুলিশ গ্রামে অভিযান চালাতে যায়, তখন হঠাৎ পরিস্থিতি অবনতি হয়। গ্রামবাসীরা পুলিশ দলের উপর পাথর ছোড়ে এবং গুলি চালায়। এই হামলায় কনস্টেবল সৌরভের মাথায় গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অন্যদিকে একজন কনস্টেবল সোনিত গুরুতর আহত হয়।
হামলার পর পুলিশের পদক্ষেপ
কনস্টেবলের মৃত্যুর পর পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হয়। নয়ডা এবং গাজিয়াবাদ পুলিশ গ্রামে ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযান চালায় এবং এখন পর্যন্ত ১০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান আসামী কাদেরের চাচাতো ভাইও রয়েছে।
পুলিশের দাবি, গ্রামে যাদের ভূমিকা সামনে এসেছে তাদের বিরুদ্ধেই কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ নির্দোষ লোকদেরও গ্রেফতার করছে এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।
চন্দ্রশেখরের কঠোর অবস্থান
গ্রামে সফরকালে চন্দ্রশেখর আজাদ বলেন, এটি কেবলমাত্র একটি পুলিশ কার্যক্রম নয়, বরং এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে করা হতে পারে। তিনি বলেন, "যদি সরকার এবং পুলিশ নিরপেক্ষ হয়, তাহলে তাদের CBI তদন্ত থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।" তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি পুলিশ নির্দোষদের হয়রানি বন্ধ না করে, তাহলে তিনি এই বিষয়টি সংসদে তুলবেন এবং প্রয়োজন হলে দেশব্যাপী আন্দোলনও করবেন।