ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং মামলায় সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী আজ আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। তাঁদের আইনজীবীরা রাউজ এভিনিউ কোর্টে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। বিচারক অভিযুক্তদের নোটিস জারি করেছিলেন।
National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মানি লন্ডারিং মামলায় সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী আজ আদালতে নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এই মামলায় তাঁদের আইনজীবীরা রাউজ এভিনিউ কোর্টে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনে ইডি কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগপত্রের উপর শুনানির পূর্বে সকল অভিযুক্তকে নোটিস জারি করেছিলেন, যাতে তারা নিজের কথা বলতে পারেন এবং মামলার নিরপেক্ষ বিচার হতে পারে।
রাউজ এভিনিউ কোর্টে যুক্তি উপস্থাপন করবেন সোনিয়া ও রাহুলের আইনজীবী
সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর আইনজীবীরা আজ তাঁদের পক্ষে রাউজ এভিনিউ অবস্থিত বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনের আদালতে নিজের যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এই মামলায় কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা স্যাম পিত্রোদা ও সুনীল ভন্ডারীসহ একটি ব্যক্তিগত কোম্পানি ইয়াং ইন্ডিয়াকেও নোটিস জারি করা হয়েছে। বিচারক বলেছিলেন যে সকল অভিযুক্তকে নিজের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে ন্যায়িক প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে চলতে পারে।
মামলার স্বীকৃতি ও অভিযুক্তদের নোটিস
বিশেষ বিচারক ২০২২ সালে ইডি কর্তৃক দায়ের করা অভিযোগপত্রের উপর স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং অভিযুক্তদের নোটিস জারি করেছিলেন। এই নোটিসের মাধ্যমে বিচারক নিশ্চিত করেছিলেন যে সকল অভিযুক্তের নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করার পুরো অধিকার থাকবে। এতে মামলার শুনানি নিরপেক্ষ ভাবে হতে পারবে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার সম্পূর্ণ টাইমলাইন
ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রতিষ্ঠা এবং বিরোধের সাথে জড়িত প্রধান ঘটনা এই রকম:
- ১৯৩৭: এসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) প্রতিষ্ঠার সাথে ন্যাশনাল হেরাল্ডের নিবন্ধন হয়।
- ১৯৩৮: পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা চালু করেন।
- ১৯৬২-৬৩: এজেএলকে আইটিওর কাছে বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ০.৩৩৬৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।
- ২০০২: মোতিলাল ভোরাকে এজেএলের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিযুক্ত করা হয়।
- ২০০৮: এজেএল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়।
- ডিসেম্বর ২০০২: এজেএলের উপর কংগ্রেসের ৯০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল।
- ২৯ ডিসেম্বর ২০০২: এজেএলের শেয়ারহোল্ডার সংখ্যা ছিল ১০৫৭।
- ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১১: কংগ্রেস এজেএলকে ৯০ কোটি টাকা ঋণ দেয়।
- ২০১১: ইয়াং ইন্ডিয়া এজেএল থেকে ৯০ কোটি টাকা আদায়ের অধিকার লাভ করে।
- ১ নভেম্বর ২০১২: সুব্রমণ্যম স্বামী পটিয়ালা হাউস কোর্টে ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করেন।
- ২ নভেম্বর ২০১২: কংগ্রেস স্পষ্ট করে জানায় যে তারা ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা পুনরায় চালু করার জন্য এজেএলকে ঋণ দিয়েছিল।
- ২০১৪: ইডি মানি লন্ডারিংয়ের তদন্ত শুরু করে।
- ২৬ জুন ২০১৪: আদালত সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে সমন করে।
- ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: পটিয়ালা হাউস তাদের নিয়মিত জামিন দেয়।
- ২০১৬: সুপ্রিম কোর্ট কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বাতিল করতে অস্বীকার করে।
- ৫ অক্টোবর ২০১৬: ভূমি ও উন্নয়ন দপ্তর এজেএলকে নোটিস জারি করে।
- অক্টোবর ২০১৮: দিল্লি হাই কোর্ট এজেএলকে হেরাল্ড হাউস খালি করার নির্দেশ দেয়।
- ১ জুন ২০২২: ইডি সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে হাজিরার নোটিস পাঠায়।