মহারাষ্ট্র সরকার নাগপুর হিংসায় সৃষ্ট ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে আদায় করবে। ১০৪ দাঙ্গাবাজের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে, ৯২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি জব্দ করে নিলাম করা হবে, পুলিশের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস শনিবার নাগপুর হিংসার প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে ঘোষণা করেছেন যে, দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। যদি তারা অর্থ প্রদান না করে, তাহলে তাদের সম্পত্তি জব্দ করে নিলাম করা হবে। সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, হিংসা ছড়ানোর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক প্রমাণের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ১০৪ দাঙ্গাবাজের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ৯২ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত অত্যন্ত কঠোরভাবে করছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভ্রমণ বন্ধ হবে না
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, নাগপুরে হিংসার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্ধারিত ভ্রমণ নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী হবে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সম্পূর্ণ সতর্ক এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের উপর হামলার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা
ফড়নবিস, যিনি গৃহ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছেন, বলেছেন যে, পুলিশ কর্মীদের উপর হামলাকারীদের কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করা হবে না। তিনি বলেছেন, "অপরাধীদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত আমার সরকার শান্তিতে বসে থাকবে না।"
এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উপর উঠে আসা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন যে, এটাকে "গোয়েন্দা ব্যর্থতা" বলা যাবে না, তবে ভবিষ্যতে গোয়েন্দা তথ্য আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশী বা বিদেশি হাতের সম্ভাবনার অস্বীকার
ফড়নবিস এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, হিংসায় বিদেশি বা বাংলাদেশীদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেছেন যে, তদন্ত এখনও চলছে এবং এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো তাড়াহুড়ো করার মতো নয়।
তিনি বলেছেন যে, এই হিংসার কোনো রাজনৈতিক দিক নেই। এটি সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঘটনা, যার মধ্যে অপরাধীদের কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করা হবে না।