পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, ১২ বছরের এক শিশু ও ২১ বছরের এক যুবক গুলিতে আহত। জানুন সর্বশেষ আপডেট, পুলিশি ব্যবস্থা ও NIA তদন্তের দাবিকে ঘিরে সব তথ্য।
মুর্শিদাবাদ সহিংসতা: পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার শমশেরগঞ্জ এলাকায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে সংঘটিত এই বিক্ষোভে ১২ বছরের এক শিশু ও ২১ বছরের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন গুলিতে। স্থানীয়দের দাবি, বিক্ষোভের সময় হঠাৎ পরিস্থিতি অবনতি হয় এবং গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। আহত দুজনকে দ্রুত জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
রেল স্টেশনে ভাঙচুর, NIA তদন্তের দাবি সুবেন্দু অধিকারীর
ঘটনার পরে বিরোধী দলনেতা সুবেন্দু অধিকারী এই সহিংসতার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এক্স (পূর্ব টুইটার)-এ পোস্ট করে তিনি বলেছেন, রেল স্টেশনে ভাঙচুর সাধারণ বিক্ষোভ ছিল না, এটি ছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন এই পুরো ঘটনার তদন্ত জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র মাধ্যমে করার জন্য। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখে রেল সম্পত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
১১৮ জন গ্রেফতার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আবেদন
এই সহিংস বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত এখন পর্যন্ত ১১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতার সময় প্রায় ১৫ জন পুলিশ কর্মী ও ১০ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন। শমশেরগঞ্জসহ সমগ্র এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও RAF মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন জনগণের কাছে আবেদন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের দিকে নজর না দেওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য।
জঙ্গিবাদী শক্তির উপর সুবেন্দুর অভিযোগ, বলেছেন- এটি গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ
সুবেন্দু অধিকারী এই সহিংসতাকে কেবল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার অংশ হিসেবে দেখতে অস্বীকার করে বলেছেন, এটি একটি পরিকল্পিত অরাজকতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, জঙ্গিবাদী শক্তি সমাজে ভীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে এবং এই সহিংসতার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। তিনি বলেছেন, দোষীদের শনাক্ত করে তাদের দ্রুত আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
