মুম্বইয়ের দাদার থানায় ব্যাংকের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে, এই কেলেঙ্কারি ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ঘটেছে।
ব্যাংক কেলেঙ্কারি: মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক হিতেশ প্রবীণচন্দ্র মেহতার উপর ১২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই কেলেঙ্কারি তখন ঘটেছিল যখন হিতেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক পদে কর্মরত ছিলেন এবং দাদার ও গোরেগাঁও শাখার দায়িত্ব তার কাছে ছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি তার পদবীর অপব্যবহার করে এই দুটি শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ১২২ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।
এই আর্থিক অনিয়মের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাদার থানায় অভিযোগ দায়ের করে, যার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক হিতেশের উপর কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডে ১২২ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে দাদার পুলিশ মামলা রুজু করেছে। অভিযোগ অনুসারে, এই কেলেঙ্কারি ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, এই প্রতারণায় হিতেশ প্রবীণচন্দ্র মেহতার পাশাপাশি আরও একজন জড়িত থাকতে পারে।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় এটিকে আরও তদন্তের জন্য অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW)-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দাদার পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধি (BNS)-র ধারা ৩১৬(৫) এবং ৬১(২)-এর অধীনে FIR দায়ের করেছে। এখন EOW-এর তদন্ত থেকে স্পষ্ট হবে যে এই কেলেঙ্কারি কীভাবে সংঘটিত হয়েছে, কতজন জড়িত ছিল এবং ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিয়মাবলী ও নিরাপত্তা প্রটোকলের কোনও অবহেলা ছিল কিনা।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্তের পর এখন ব্যাংক নতুন ঋণ প্রদান করতে পারবে না, এবং বর্তমান ঋণের নবায়নও করতে পারবে না। এছাড়াও, ব্যাংক নতুন আমানত গ্রহণ করতে পারবে না, কোনও বিনিয়োগ করতে পারবে না, তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না এবং সম্পত্তির বিক্রয়ের উপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
RBI বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ব্যাংকে সম্প্রতি ঘটা আর্থিক অনিয়ম এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার প্রেক্ষিতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী ছয় মাস কার্যকর থাকবে।