প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিয়েছে আমেরিকা। এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ (DOGE) বহু বিদেশী প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে একটি বাংলাদেশেরও রয়েছে।
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিয়েছে আমেরিকা। এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ (DOGE) বহু বিদেশী প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রকল্প বাংলাদেশের। উল্লেখ্য, আমেরিকার সরকার বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন আমেরিকান ডলারের অর্থ সাহায্য দিতে যাচ্ছিল, যাতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুনর্জাগরণ করা যায়। কিন্তু এখন এলন মাস্কের বিভাগ তা বাতিল করে দিয়েছে।
অর্থ সাহায্য দিয়ে আমেরিকা কী করতো?
আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে এমন ২৯ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
এই বৈঠকের পর ট্রাম্প বাংলাদেশে আমেরিকার সরকারের যে কোনও ধরণের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে এই বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করত। এই অর্থ সাহায্যের ব্যবহার হতো রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলির মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করা এবং হিংসা কমানোর জন্য।
এছাড়াও, এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হত, যাতে তাদের রাজনৈতিক দক্ষতা বিকাশ করা যায়।
সরকারি দক্ষতা বিভাগ এই কর্মসূচিগুলির অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
* মোজাম্বিককে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা পুরুষ খৎনার জন্য দেওয়া ১০ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* কম্বোডিয়াকে ইউসি বার্কলে-র জন্য দেওয়া ৯.৭ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বাতিল।
* কম্বোডিয়ায় স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া ২.৩ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* প্রাগ সিভিল সোসাইটি সেন্টারকে দেওয়া ৩২ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* লিঙ্গ সমতা ও নারী সবলীকরণ কেন্দ্রের সাথে যুক্ত ৪০ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* সার্বিয়াকে দেওয়া ১৪ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণের জন্য কনসোর্টিয়ামকে দেওয়া ৪৮৬ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* মোল্ডোভায় অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য দেওয়া ২২ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বন্ধ।
* ভারতে ভোটদানের জন্য দেওয়া ২১ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া ২৯ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* নেপালের ২০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বন্ধ।
* নেপালে "জীববৈচিত্র্য সংলাপ" এর জন্য দেওয়া ১৯ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বন্ধ।
* ১.৫ মিলিয়ন ডলার লাইবেরিয়ার ভোটারদের আস্থা কর্মসূচীতে দেওয়া হবে না।
* মালিতে সামাজিক সমন্বয়ের জন্য দেওয়া ১৪ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বন্ধ।
* দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেওয়া ২.৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* এশিয়া সংক্রান্ত ৪৭ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
* কোসোভো রোমা, আশ্কালি ও মিশরের জন্য দেওয়া ২ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য বন্ধ।
