মাইয়া সম্মান যোজনার অধীনে, যদি কোনো ঘরে তিনজন মহিলা ও বৃদ্ধ সদস্য থাকেন, তাহলে সরকার প্রতি বছর ৬০ হাজার টাকা প্রদান করবে। এই যোজনার প্রধান উদ্দেশ্য হল মহিলাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে সবল করা এবং নারী স্বাবলম্বনকে উৎসাহিত করা। এই টাকা মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর (Direct Benefit Transfer) পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠানো হবে। এই যোজনায় ১৮ বছর বয়সী মহিলাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রাঁচি: মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শুক্রবার অর্থাৎ আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বোকারোর ললপানিয়া অঞ্চলে অবস্থিত লুগুবুরুর পবিত্র ভূমি ঘন্টাবাড়ি ধরোমগড় থেকে মাইয়া সম্মান যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির বিতরণ করবেন। এই যোজনার অধীনে রাজ্যের ৪৫ লক্ষেরও বেশি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সম্মানের অর্থ স্থানান্তর করা হবে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ে প্রথম কিস্তির অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
মাইয়া সম্মান যোজনার উদ্দেশ্য রাজ্যের মহিলাদের অর্থনৈতিক সবলীকরণ করা, এবং এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।
যোজনার অধীনে মহিলাদের র নিবন্ধন
এখন পর্যন্ত যোজনার সুবিধা গ্রহণের জন্য ৪৮,১৫,০৪৮ জন মহিলার নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫,৩৬,৫৯৭ জন মহিলা সম্মানের অর্থের সুবিধা পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নির্দেশ দিয়েছেন যে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে সম্মানের অর্থ পাঠানো হবে।
১৮থেকে ২০বছর বয়সী মহিলাদের পাবেন সুবিধা
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর, ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী মহিলাদের মুখ্যমন্ত্রী মাইয়া সম্মান যোজনায় যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শীঘ্রই তারাও সম্মানের অর্থ পেতে শুরু করবে। এর আগে এই যোজনার অধীনে শুধুমাত্র ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদেরই সুবিধা দেওয়া হত।
যোজনার আওতা বৃদ্ধি
৩ আগস্ট থেকে মুখ্যমন্ত্রী মাইয়া সম্মান যোজনার জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়। পরের দিন অনলাইন আবেদনে যে সমস্যা দেখা দেয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী অফলাইনে আবেদন নেওয়ার নির্দেশ দেন। ১৮ আগস্ট প্রথমবার এই যোজনার অধীনে পাকুড় জেলায় ৮০ হাজারেরও বেশি লোক সুবিধা পায়।
এরপর ২২ আগস্ট পলামু বিভাগের লাতেহার, মেদিনীনগর এবং গড়ওয়া জেলায় ২.৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ সাহায্য পেয়েছে। পুনরায় ২৪ আগস্ট উত্তর ছোটানাগপুরের রামগড়, হাজারিবাগ, চত্রা, কোডারমা, গিরিডিহ, ধানবাদ এবং বোকারো জেলায় ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি এই যোজনার সুবিধা পেয়েছে।
যোজনার মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য প্রাপ্তি
২৭ আগস্ট সাঁথাল পরগনার দেওঘর, গোড়্ডা, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, দুমকা এবং জামতাড়ার ৭ লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৮ আগস্ট কোলহান বিভাগের পূর্ব সিংভূম, পশ্চিম সিংভূম এবং সরাইকেলা-খরসাওয়ার ৭ লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি মহিলা অর্থ পেয়েছে। পুনরায় ৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ছোটানাগপুরের রাঁচি, খুঁটি, সিমডেগা, গুমলা এবং লোহারদাগার ৭ লক্ষেরও বেশি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
