ললিত মোদী ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, যার ফলে তাঁর ভারতে ফিরে আসা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন জমা দিয়েছেন, যার উপর সরকার নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
ললিত মোদীর ভারতে প্রত্যাবর্তন: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)-এর প্রাক্তন প্রধান ও শিল্পপতি ললিত মোদী ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। এই সিদ্ধান্তের পর ভারত সরকারের পক্ষে তাঁকে ফিরিয়ে আনা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদেশ মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, সরকার আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ললিত মোদী লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে তাঁর নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁর ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়টিও তাঁদের জানায়েছে। ভারত সরকার এখনও আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
কেন ভানুয়াতু বেছে নিলেন ললিত মোদী?
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে অবস্থিত ছোট্ট দেশ ভানুয়াতু সহজ নাগরিকত্ব নীতির জন্য পরিচিত। সেখানে মাত্র ১.৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। যদি দম্পতি উভয়ই নাগরিকত্ব নেয়, তাহলে যৌথ বিনিয়োগের উপর বিশেষ ছাড়ও পাওয়া যায়।
২০১০ সালে পালিয়ে গিয়েছিলেন ললিত মোদী
ললিত মোদী, যিনি ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)-এর উপাধ্যক্ষও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, আর্থিক অনিয়ম ও ফরেক্স ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা)-এর লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের জেরে ২০০১ সালে তিনি ভারত ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত সত্ত্বেও, তাঁকে এখনও দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
অন্যান্য আর্থিক অপরাধীদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারবেন কি মোদী?
ভারত সরকার এর আগেও বিজয় মাল্যা, নীরব মোদী ও মেহুল চোকসী-র মতো আর্থিক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে সফলতা আসেনি। ললিত মোদীর নাগরিকত্ব পরিবর্তনের পর এখন তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনা আরও কমে গেছে।
