দিল্লি নির্বাচনের পর কেজরিওয়ালের পঞ্জাব নীতি: বিধায়ক বৈঠক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা

দিল্লি নির্বাচনের পর কেজরিওয়ালের পঞ্জাব নীতি: বিধায়ক বৈঠক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা
সর্বশেষ আপডেট: 10-02-2025

দিল্লির নির্বাচনী ফলাফলের পর কেজরিওয়াল পঞ্জাবের দিকে নজর দিলেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে আপ বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে, যার ফলে ১২ ফেব্রুয়ারির পঞ্জাব কেবিনেট বৈঠক স্থগিত হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি হবে।

পঞ্জাব: দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই आम आदमी पार्टी (আপ)-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল পঞ্জাবের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে পঞ্জাবের সকল আপ বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন। এই কারণে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া পঞ্জাব কেবিনেটের বৈঠক আবারও স্থগিত করা হয়েছে। এখন এই বৈঠক ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকের এজেন্ডা এখনও স্পষ্ট নয়

কেজরিওয়ালের সাথে বিধায়কদের আলোচনার পর কেবিনেট বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠকের প্রস্তাব ছিল, যা পরে ১০ ফেব্রুয়ারির জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। এখন এটি ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে, এখনও পর্যন্ত কেজরিওয়াল কর্তৃক ডাকা বৈঠকের স্পষ্ট এজেন্ডা প্রকাশিত হয়নি।

পঞ্জাবের আপ বিধায়কদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

এই বৈঠককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে কারণ পঞ্জাবের আপ বিধায়কদের কর্মক্ষমতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠছে। দিল্লি নির্বাচনে आम आदमी पार्टी-র পরাজয়ের পর এখন দলের সম্পূর্ণ কৌশল পঞ্জাবের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। পঞ্জাবেও আপ-এর জন্য বেশ কিছু রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

কংগ্রেস পঞ্জাবে ‘আপ’-এর বিভাজনের দাবি করেছে

দিল্লি নির্বাচনে आम आदमी पार्टी-র পরাজয়ের পর কংগ্রেস পঞ্জাবে রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের দাবি করেছে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা প্রতাপ সিংহ বাজওয়া বলেছেন, দিল্লিতে পরাজয়ের পর কেজরিওয়াল পঞ্জাবের দিকে ঝুঁকবেন এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করবেন।

কেজরিওয়াল কি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন?

পঞ্জাবে আপ-এর রাজ্য সভাপতি অমন অরোরা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী একজন হিন্দুও হতে পারেন এবং মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য যোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। তার এই বক্তব্যকে দিল্লি নির্বাচনের ফলাফলের সাথে যুক্ত করে দেখা হচ্ছে।

এছাড়াও, লুধিয়ানায় আপ-এর একজন বর্তমান বিধায়কের মৃত্যুর পর বিধানসভার একটি আসন খালি রয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, কেজরিওয়াল এই আসন থেকে উপনির্বাচন করতে পারেন এবং পঞ্জাবে তাঁর রাজনৈতিক অভিযান শুরু করতে পারেন।

বিধায়কদের বৈঠকের পর রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে

দিল্লিতে পঞ্জাবের বিধায়কদের বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক আলোচনার বাজার গরম হয়ে উঠেছে। এই বৈঠকের পর পঞ্জাবের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। কংগ্রেস এটিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত বলে মনে করছে, অন্যদিকে আপ-এর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমীকরণও পরিবর্তিত হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হলো ১১ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে কেজরিওয়াল কী বড় সিদ্ধান্ত নেন।

Leave a comment