২০২৫ সালের মহাকুম্ভের সময় কাশীতে এমন এক আধ্যাত্মিক ও আস্থার ঢেউ উঠেছিল যা ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে ২.৪৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামে এসে বাবার দর্শন করেছেন।
বেনারস: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভের সময় কাশীতে এমন এক আধ্যাত্মিক ও আস্থার ঢেউ উঠেছিল যা ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছে। ৪৫ দিনের মধ্যে ২.৪৫ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামে এসে বাবার দর্শন করেছেন। মহাশিবরাত্রির পবিত্র দিনে এমন এক আস্থার জনস্রোত দেখা গেছে যে একদিনেই ১১.৬৯ লক্ষেরও বেশি ভক্ত বাবার দরবারে উপস্থিত ছিলেন। ভক্তদের সুবিধার জন্য মন্দির প্রশাসনকে শয়ন আরতির সময় দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ১টা পর্যন্ত করতে হয়েছিল।
প্রতিটি স্নান পর্বের দিন ভক্তদের সংখ্যা অসীমভাবে বেড়েছে
মহাকুম্ভে প্রয়াগরাজের সংগমে পবিত্র স্নানের পর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী কাশীর দিকে যাচ্ছিলেন। বিশেষ করে মাঘী পূর্ণিমার স্নানের পর ১৩ ফেব্রুয়ারী বাবা বিশ্বনাথের দর্শনের জন্য ৮.২৬ লক্ষ তীর্থযাত্রী এসেছিলেন। পরের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারী ৭.৩২ লক্ষেরও বেশি ভক্ত বাবার দরবারে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি সপ্তাহান্ত, ধর্মীয় উৎসব এবং ছুটির দিনগুলিতে কাশীতে তীর্থযাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে।
মহাশিবরাত্রিতে রেকর্ড ভাঙা
মহাকুম্ভের শেষ পর্যায়ে মহাশিবরাত্রি উৎসব নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারী ১১.৬৯ লক্ষেরও বেশি ভক্ত বাবা বিশ্বনাথের দর্শন করেছেন, যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। পরের দিন রাত ৯ টা পর্যন্ত ৬.০৫ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী দর্শন করেছেন। মন্দির প্রশাসনের মতে, অনেক তীর্থযাত্রী এমনও ছিলেন যারা ভিড়ের কারণে বাবার গর্ভগৃহে পৌঁছাতে পারেননি, কিন্তু তারা গঙ্গাস্নান ও মন্দিরের শিখর দর্শন করে তাদের যাত্রা সম্পূর্ণ করেছেন। এরপরেও তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা ২.৪৫ কোটির ঘরে পৌঁছেছে।
ভক্তদের ভিড় দেখে প্রশাসন সতর্ক
তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মন্দির প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত ব্যবস্থা করেছে। শয়ন আরতির সময় বাড়ানো ছাড়াও, মন্দির চত্বরে দর্শন ব্যবস্থা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কিছু পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে যাতে ভক্তরা নির্বিঘ্নে দর্শন করতে পারেন।
মহাকুম্ভ ২০২৫ শুধুমাত্র প্রয়াগরাজ নয়, কাশী ও আয়োধ্যাকেও আধ্যাত্মিক শক্তি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে। কাশীতে এই অপার ভক্তি আবারও প্রমাণ করেছে যে বাবা বিশ্বনাথের দরবার বিশ্বের ভক্তদের জন্য পরম আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।
