ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অতি প্রত্যাশিত বাজেট অধিবেশন আজ থেকে শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সরকারের নীতি, সুশাসন এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন।
রাঁচি: ঝাড়খণ্ড বিধানসভার অতি প্রত্যাশিত বাজেট অধিবেশন আজ শুরু হয়েছে। রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সরকারের নীতি, সুশাসন এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রাজ্যের জনগণ সরকারের প্রতি তাদের বিশ্বাস অভূতপূর্ব ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। শাসক দলের সদস্যরা ভাষণের সময় ডেস্ক বাজিয়ে সমর্থন প্রকাশ করলেও বিরোধীরা বিভিন্ন বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন।
সুশাসন ও উন্নয়নের উপর জোর
তাঁর ভাষণে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, ঝাড়খণ্ড সরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি 'আবুয়া আবাস' এবং 'মাইয়ান সম্মান যোজনা'র মতো প্রকল্পগুলির উল্লেখ করে সরকারের জনকল্যাণমুখী নীতির উপর ক্রমাগত কাজের কথা তুলে ধরেছেন। এছাড়াও, সাইবার অপরাধ রোধ এবং শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলির প্রশংসা করা হয়েছে।
বাজেট অধিবেশনের সম্ভাব্য কর্মসূচী
বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াও আগামী দিনগুলিতে বাজেট উপস্থাপন করা হবে, এরপর বিভিন্ন অনুদানের দাবিতে আলোচনা হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট উপস্থাপনের তারিখ ৩রা মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে, ৪ঠা এবং ৫ঠা মার্চ আলোচনার জন্য নির্ধারিত। এর পরে অনুদানের দাবিতে বিস্তারিত আলোচনা এবং ভোটগ্রহণ হবে।
বিরোধী দলের অবস্থান এবং শাসক দলের কৌশল
রাজ্যপালের ভাষণের সময়, বিজেপি বিধায়করা তাদের বিরোধিতা ব্যক্ত করে রাজ্য সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, শাসক দল সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে জনস্বার্থে উপস্থাপন করেছে এবং বিরোধীদের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে। আগামী দিনগুলিতে বিরোধী ও সরকারের মধ্যে তীব্র বিতর্কের আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে শিল্প উন্নয়ন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সেবা নিয়ে।
বাজেট অধিবেশন থেকে প্রত্যাশা
এই বছরের বাজেটে রাজ্যে নতুন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। শিল্প, কর্মসংস্থান এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বাজেট উপস্থাপনের পর বিরোধী দল সরকারের নীতি সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করবে, যার ফলে অধিবেশনে সম্ভবত তীব্র বিতর্ক হবে। ঝাড়খণ্ডের জনগণ এই বাজেট অধিবেশন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার আশা করছে যা রাজ্যের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।
বাজেট অধিবেশনের সম্পূর্ণ সময়সূচী
২৪শে ফেব্রুয়ারী: রাজ্যপালের ভাষণ, অধিবেশনের বিরতির সময় রাজ্যপাল কর্তৃক প্রণীত অধ্যাদেশের উপস্থাপন, শোক প্রস্তাব।
২৫শে ফেব্রুয়ারী: প্রশ্নকাল, রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এবং আলোচনা।
২৬শে ফেব্রুয়ারী: অধিবেশন বন্ধ।
২৭শে ফেব্রুয়ারী: প্রশ্নকাল, তৃতীয় পরিপূরক ব্যয় বিবরণী উপস্থাপন, ভাষণের উপর আলোচনা এবং সরকারের উত্তর।
২৮শে ফেব্রুয়ারী: প্রশ্নকাল, তৃতীয় পরিপূরক ব্যয় বিবরণীতে আলোচনা ও ভোটগ্রহণ, বরাদ্দ বিল।
১ ও ২রা মার্চ: অধিবেশন বন্ধ।
৩রা মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেট (রাজস্ব ও ব্যয়) উপস্থাপন।
৪ ও ৫ই মার্চ: বাজেটের উপর আলোচনা।
৫ই মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেটের উপর আলোচনা এবং সরকারের উত্তর।
৬ ও ৭ই মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেটের অনুদানের দাবিতে আলোচনা, সরকারের উত্তর এবং ভোটগ্রহণ।
৮ ও ৯ই মার্চ: অধিবেশন বন্ধ।
১০ ও ১১ই মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেটের অনুদানের দাবিতে আলোচনা, সরকারের উত্তর এবং ভোটগ্রহণ।
১২-১৬ই মার্চ: অধিবেশন বন্ধ।
১৭-২১শে মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেটের অনুদানের দাবিতে আলোচনা, সরকারের উত্তর এবং ভোটগ্রহণ।
২২ ও ২৩শে মার্চ: অধিবেশন বন্ধ।
২৪শে মার্চ: প্রশ্নকাল, বাজেটের অনুদানের দাবিতে আলোচনা, সরকারের উত্তর এবং ভোটগ্রহণ।
২৫ ও ২৬শে মার্চ: প্রশ্নকাল, সরকারী বিল এবং অন্যান্য সরকারী কাজ।
২৭শে মার্চ: প্রশ্নকাল, সরকারী বিল এবং অন্যান্য সরকারী কাজ।
