হিমানী নারওয়াল হত্যাকাণ্ডে বাহাদুরগড়ের গাঁও খেরপুর निবাসী সচিন গ্রেফতার। রোহতক হাইওয়ে किনারে স্যুটকেসে ১ মার্চ মিলেছিল মৃতদেহ। ঘটনার তদন্তের জন্য SIT গঠন।
Himani Murder Case: হরিয়ানা পুলিশ কংগ্রেস কর্মী হিমানী নারওয়ালের হত্যা মামলায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের মতে, এই গ্রেফতারি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে।
স্যুটকেসে মিলেছিল মৃতদেহ, পুলিশের তদন্ত অব্যাহত
১ মার্চ রোহতকের একটি হাইওয়ের কাছে স্যুটকেসের ভিতরে হিমানী নারওয়ালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় সন্নিপাত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করে এবং এখন পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সংগ্রহ করেছে। সাংপালার DSP রজনীশ কুমার জানিয়েছেন, মামলার গভীর তদন্তের জন্য SIT (বিশেষ তদন্ত দল) গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সাইবার প্রযুক্তি এবং ফরেনসিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি দিক থেকে মামলার তদন্ত করছে।
অভিযুক্ত সচিন কে?
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের নাম সচিন, যিনি বাহাদুরগড়ের গাঁও খেরপুরের বাসিন্দা। সচিনের বয়স ৩২ বছর এবং তিনি দুই সন্তানের পিতা। জানা গেছে, তিনি প্রেম বিবাহ করেছেন এবং তার স্ত্রী বণিয়া সম্প্রদায়ের। সচিনের পরিবার সাধারণ, তার পিতা গাড়ি চালান এবং তার নিজের একটি মোবাইলের দোকান আছে। সচিনের বিরুদ্ধে আগে কোনও বড় অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না, তবে পুলিশ তার পুরো পটভূমি খতিয়ে দেখছে।
পরিবারের অভিযোগ – রাজনৈতিক শত্রুতায় হত্যা
হিমানীর মা মিডিয়ার সাথে কথা বলে বড় ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হিমানী কংগ্রেস দলে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলেন, যার ফলে কিছু লোকের ঈর্ষা হচ্ছিল। তিনি দাবি করেছেন যে, দলীয় কার্যালয়েও বেশ কয়েকবার বিবাদ হয়েছিল, যা থেকে স্পষ্ট যে তার হত্যার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
পরিবার পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এবং ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ না সকল দোষীকে গ্রেফতার করা হয়, তারা হিমানীর শেষকৃত্য করবে না।
পরিজনদের ন্যায়ের দাবি
হিমানী নারওয়ালের ভাই জতীন এএনআই-এর সাথে কথা বলে পরিবারের ন্যায়ের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমরা চাই সকল দোষীকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক এবং তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।"
হিমানীর চাচাও এই মামলায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, "আমাদের একটাই দাবি—হত্যাকারী যারাই হোক না কেন, তাদের ক্ষমা করা যাবে না এবং আমাদের ন্যায় পেতে হবে।"
রাজনৈতিক মহলেও তীব্র আলোড়ন
এই হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন তীব্র হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীরা এই মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি নেতারা এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে, আইন তার কাজ করবে এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তি পাবে।