হিমাচল কংগ্রেসে উত্তাল পরিস্থিতি: দিল্লিতে নেতাদের জরুরি বৈঠক

হিমাচল কংগ্রেসে উত্তাল পরিস্থিতি: দিল্লিতে নেতাদের জরুরি বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 11-06-2025

হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস রাজনীতিতে এখন উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, কংগ্রেস বিধায়ক দলের প্রাক্তন নেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী এবং জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিক্রমা দিত্য সিং বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন, যেখানে তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেছেন।

নতুন দিল্লি: হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসে সাংগঠনিক পরিবর্তন এবং নেতৃত্ব নিয়ে চলমান জল্পনার মধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে পৌঁছে "মন্থন মিশনে" ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রী বিক্রমা দিত্য সিং গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকমানের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।

সূত্রমতে, এই নেতারা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ংকা গান্ধী ওয়াদ্রার সাথে বৈঠক করেছেন এবং রাজ্য কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থা, সংগঠনের অসচলতা এবং সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

বৈঠকের পিছনে বড় কারণগুলি

সম্প্রতি হিমাচল কংগ্রেসে সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্বাচনী কৌশলগুলিতে একতা বজায় রাখার অভাব নিয়ে হাইকমান উদ্বিগ্ন বলে জানা যাচ্ছে। বিক্রমা দিত্য সিং এবং মুকেশ অগ্নিহোত্রী গত কয়েকদিন ধরে দলীয় মঞ্চে স্বাধীনভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন এবং সংগঠনে স্বচ্ছতা আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, দিল্লিতে এই নেতাদের রাহুল-প্রিয়ংকার সাথে বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।

সুখুর ভূমিকা এবং হাইকমানের কৌশল

মুখ্যমন্ত্রী সুখুও দিল্লি সফরে স্পষ্ট করে বলেছেন যে সরকার এবং সংগঠন উভয়কেই শক্তিশালীভাবে পরিচালনা করা জরুরি। তবে এমনও আলোচনা চলছে যে সংগঠন এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে হাইকমান উদ্বিগ্ন। সূত্রমতে, কংগ্রেস নেতৃত্ব খুব শীঘ্রই হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নতুন সভাপতি ঘোষণা করতে পারে। এই সিদ্ধান্তকে আসন্ন পৌর নিগম এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের কৌশলের সাথেও যুক্ত করে দেখা হচ্ছে।

নতুন সভাপতির তাজপোশী শীঘ্রই

মনে করা হচ্ছে যে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে এমন একজন নেতার নিযুক্তি করা হতে পারে যিনি সরকার এবং সংগঠনের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করতে পারবেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে পারবেন। এই পদের জন্য একজন জ্যেষ্ঠ নেতা, একজন মহিলা নেতা এবং একজন যুব নেতার নাম উঠে আসছে। কংগ্রেস সূত্রের মতে, হাইকমান এখন সংগঠনে নিষ্ক্রিয়তা এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে কোনও ঢিলা সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নেতাদের বক্তব্য এবং ইঙ্গিত

দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেছেন: আমরা দলের সাংগঠনিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য এখানে আছি। কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ এবং আমরা সকলে মিলে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি। অন্যদিকে বিক্রমা দিত্য সিংও বলেছেন: যুব কর্মীদের কণ্ঠস্বরকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। আমাদের হিমাচলে কংগ্রেসকে নতুন শক্তি দিতে হবে।

হিমাচলে আগামী কয়েক মাসে শহুরে সংস্থা এবং কিছু জেলায় পঞ্চায়েত উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেস নেতৃত্ব চায় দল এই নির্বাচনে ভালো ফলাফল করুক। সেজন্য রাজ্য পর্যায়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন, নতুন কার্যকরী গঠন এবং জেলায় জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Leave a comment