ইন্দোরের সোনম হানিমুনের সময় স্বামী রাজার হত্যা করে পলায়ন করেছিল। ১৭ দিন পর গাজীপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ষড়যন্ত্রে চারজন জড়িত, তদন্ত চলছে।
Sonam Murder Case: ইন্দোরের সোনম বিবাহের মাত্র ১২ দিন পর শিলংয়ে তার স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যা করে পালিয়ে যায়। ১৭ দিন পর গাজীপুরে তাকে পাওয়া যায়, যেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে সোনমের আগে থেকেই এক প্রেমিক ছিল এবং তার সাথে মিলে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
নববধূর ভয়াবহ খেলা
ইন্দোরের বাসিন্দা সোনম ১১ই মে হিন্দু রীতিনীতিতে রাজা রঘুবংশীর সাথে বিবাহ করে। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ ছিল এবং নবদম্পতি ২০ই মে শিলং হানিমুনের জন্য রওনা হয়। প্রথমদিকে সব স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু ২৩ই মে হঠাৎ করে দুজনেই নিখোঁজ হয়ে যায়।
রাজার লাশ গভীর খাদে পাওয়া যায়, সোনম নিখোঁজ
২৩ই মে থেকে দুজনেরই মোবাইল বন্ধ ছিল এবং ২৪ই মে রাজা ও সোনমের স্কুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে জঙ্গল থেকে তাদের জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। অবশেষে ২রা জুন রাজার লাশ উইসাওডং জলপ্রপাতের কাছে একটি গভীর খাদে পাওয়া যায়। হাতের ট্যাটু থেকে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
১৭ দিন পর সোনম নিজেই স্বীকার করে
৯ই জুন সকালে সোনম হঠাৎ গাজীপুরের একটি ঢাবায় এসে উপস্থিত হয়। সে ঢাবার মালিকের ফোন ব্যবহার করে তার ভাইকে ভিডিও কল করে এবং তার অবস্থান জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং চিকিৎসা পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রেমের সম্পর্কের জন্য ষড়যন্ত্র
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, সোনমের আগে থেকেই এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে তার প্রেমিকের সাথে মিলে স্বামী রাজাকে পথ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করে। হানিমুনের অজুহাতে শিলং নিয়ে গিয়ে স্বামীর হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সোনমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন ইন্দোর থেকে এবং একজন ইউপি থেকে। একজন আসামী এখনও পলাতক।
সিসিটিভি ফুটেজ ও কল রেকর্ডিং থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
২২শে মে একটি হোটেলের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে রাজা ও সোনমকে স্কুটিতে দেখা যায়। ২৩শে মে সোনম শেষবার রাজার মায়ের সাথে কথা বলেছিল। কল রেকর্ডিংয়ে সে নির্দোষ ভাবে তার দুঃখের কথা বলছিল, কিন্তু এখন সেই একই ব্যক্তি হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উঠে এসেছে।
সোনমের মা সংগীতা মিডিয়ার সাথে কথোপকথনে বলেছেন, মেয়েটি ফিরে পেয়েছে, এতে স্বস্তি আছে, কিন্তু রাজার মৃত্যুর দুঃখ কমেনি। তিনি বলেছেন, সত্যি কী, তা তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে।