দিল্লি-এনসিআরে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা এবং এখন তীব্র গরমও বেড়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এবং এই অবস্থা আরও কিছুদিন থাকতে পারে।
AQI রিপোর্ট দিল্লি: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লি-এনসিআরের আকাশে ঘন কুয়াশার আস্তরণ পড়ে আছে। দৃশ্যমানতা কমে গেছে এবং পরিবেশে হালকা একটা অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। সকালে বাতাসে আর্দ্রতার প্রভাব স্পষ্ট দেখা গেছে।
অন্যদিকে গরমও ধীরে ধীরে তীব্রতর হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর (IMD)-এর মতে, আজ দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আগামী দিনগুলিতেও এমনই গরম ও শুষ্ক পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
একের পর এক দিন ৪০ ডিগ্রির উপরে উঠছে পারদ
বুধবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৯ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি বেশি ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
দিল্লির কিছু এলাকায় পরিস্থিতি আরও তীব্র ছিল। আয়ানগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, যখন পিটমপুরায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা সকালে ৭৩% থেকে দিনে ২২% এ নেমে এসেছে, যার ফলে উৎকট গরমের সাথে সাথে ঝাঁঝালো বাতাসের প্রভাব অনুভূত হয়েছে।
বায়ুমানের (AQI) সামান্য উন্নতি
যদিও গরম বাড়ছে, কিন্তু বায়ুমান (Air Quality) গত ৯ দিন ধরে ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB)-এর মতে, বুধবার দিল্লির গড় AQI ১৩৫ রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘মধ্যম শ্রেণী’তে পড়ে।
মঙ্গলবার এটি ছিল ১৪১, অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় AQI ৬ পয়েন্ট কমেছে। এনসিআরের অন্যান্য শহরগুলিতেও একই অবস্থা ছিল। আগামী দিনগুলিতেও AQI মধ্যম শ্রেণীতে থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় বইবে প্রচণ্ড বাতাস
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় ১৫ থেকে ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে প্রচণ্ড বাতাস বইতে পারে। কিছু সময়ের জন্য বাতাসের বেগ ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর ফলে দূষণ ছড়িয়ে পড়া কিছুটা কমতে পারে।
আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বৃষ্টিপাতের কোন আশা নেই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
দিল্লিবাসীদের জন্য সতর্কতা
দিল্লি-এনসিআর-এর মানুষের জন্য গরম এবং বায়ু দূষণ উভয়ই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা, টুপি এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। অধিক সময় সূর্যের আলোতে থাকলে ডিহাইড্রেশন এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।