দিল্লির নির্বাচন নিয়ে সমস্যায় আছেন আরাম আদমী পার্টির প্রার্থী অবধি ওঝা। তাঁর ভোট দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়নি। কেজরিওয়াল এটাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন।
দিল্লি নির্বাচন ২০২৫: আরাম আদমী পার্টি (আপ) এর পটপড়গঞ্জ আসনের প্রার্থী অবধি ওঝার নির্বাচনী যাত্রা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। দিল্লিতে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থীর দিল্লির ভোটার হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু ওঝার ভোট দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়নি। আগে তাঁর ভোট গ্রেটার নয়ডায় ছিল, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়ে আপ-এর সভাপতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন।
ভোট স্থানান্তরের বাধার অভিযোগ
অবধি ওঝা ২৬ ডিসেম্বর গ্রেটার নয়ডায় ভোট বাতিল করার জন্য আবেদন করেন, কিন্তু তাঁকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর ৭ জানুয়ারি তিনি দিল্লিতে ভোট স্থানান্তর করার জন্য আবেদন করেন। যদিও এই দিনটি ছিল ভোট স্থানান্তর ফর্ম জমা দেয়ার শেষ তারিখ। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এটি একটি বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
শেষ তারিখের পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন
দিল্লির প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা আগে ৭ জানুয়ারি আবেদনের শেষ তারিখ ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু একদিন পর নতুন নির্দেশ জারি করে তা ৬ জানুয়ারি করে দেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল এটাকে আইনের বিরুদ্ধে বলে অভিহিত করেছেন এবং এটাকে ওঝাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করেন। তিনি বলেন, এটি ষড়যন্ত্রমূলক এবং আরাম আদমী পার্টির নির্বাচনী প্রার্থীদের ক্ষতি করার পরিকল্পনার অংশ।
কেজরিওয়ালের দিল্লির প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য
এই বিষয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ দিল্লির প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে দেখা করে নির্দেশে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করবেন। তিনি বলেন, এই সমস্যা শুধুমাত্র ওঝার সাথেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিজেপির অনেক সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কার্যালয়েও ব্যাপক ভোট স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছে। কেজরিওয়াল বলেন, তিনি এই বিষয়েও প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে এই ভোট বাতিলের প্রক্রিয়া নয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আপ-এর প্রতিক্রিয়া
আরাম আদমী পার্টি জানিয়েছে যে, তারা এই বিষয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে এবং ওঝার নির্বাচনী প্রচারে কোনও প্রভাব পড়বে না। দলটির মতে, এটি সম্পূর্ণরূপে বিরোধী দলের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
সমাজের জন্য এই পরিস্থিতি সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে, কারণ এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এখন দেখা যাবে যে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ওঝার ক্ষেত্রে কোনো পুনর্বিবেচনা করবেন এবং এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা যাবে কি না।