রাজস্থানের ধৌলপুর জেলার কুহাওয়ানী গ্রামে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একই পরিবারে দুটি হৃদয়বিদারক মৃত্যু ঘটেছে। প্রথমে ঘরের বউকে হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তিনি মারা যান। শেষকৃত্যের প্রস্তুতির সময় চাচাতো শ্বশুরকেও হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তিনিও মারা যান।
ধৌলপুর: রাজস্থানের ধৌলপুর জেলার কুহাওয়ানী গ্রামে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একই পরিবারে দুটি মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। প্রথমে ঘরের বউকে হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তিনি প্রাণ হারান। পরিবার যখন শোকে ভেঙে পড়ে, তখন শেষকৃত্যের প্রস্তুতির সময় চাচাতো শ্বশুরকেও হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তিনিও মারা যান। এই দুর্ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তম্ভিত ও শোকাহত।
বউয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে চাচাতো শ্বশুর
ধৌলপুর জেলার বাড়ি উপজেলার কুহাওয়ানী গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। গ্রামের সম্মানিত নাগরিক এবং অবসরপ্রাপ্ত ডাক অধীক্ষক মুরারী মীণার ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী মায়া দেবীকে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তার মৃত্যু হয়। তার ছেলে সুরেশ মীণা, যিনি দিল্লীতে সরকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত, আসা পর্যন্ত শেষকৃত্য স্থগিত রাখা হয়।
এদিকে, মৃতার ৭৭ বছর বয়সী চাচাতো শ্বশুর গোলাব সিং মীণা, যাঁকে গ্রামে ‘কাকা’ বলে ডাকা হতো, তাঁর বাসায় গ্রামবাসীদের সাথে বসে ছিলেন। বউয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি ইতোমধ্যেই গভীর শোকে ছিলেন এবং হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। পরিজনরা তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকরা জানান তাঁকেও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। গুরুতর অবস্থার কারণে তাঁকে গোয়ালিয়র রেফার করা হয়, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
একই শ্মশানে শেষকৃত্য
গ্রামে ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুইজনের মৃত্যুতে গোটা পরিবেশ শোকাকুল হয়ে পড়ে। গোলাব সিং মীণা সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন এবং কিছুদিন ধরে আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করছিলেন। বউয়ের মৃত্যুর পর তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে ছিলেন, কিন্তু ভাগ্যের অন্য কিছুই লেখা ছিল। গ্রামে তাঁদের দুজনের শেষকৃত্য একই স্থানে সম্পন্ন হয়, যেখানে অসংখ্য গ্রামবাসী ও আত্মীয়স্বজন তাঁদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এই ঘটনা গোটা গ্রামের জন্য একটি গভীর আঘাত হিসেবে প্রমাণিত হয়, যা সকলকে কাঁপিয়ে তুলেছে।