দারভঙ্গায় হোলি-জুমার নামাজ বিতর্ক: মেয়রের দুই ঘন্টা বিরতির প্রস্তাব, বিজেপি-জেডিইউর মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ

দারভঙ্গায় হোলি-জুমার নামাজ বিতর্ক: মেয়রের দুই ঘন্টা বিরতির প্রস্তাব, বিজেপি-জেডিইউর মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ
সর্বশেষ আপডেট: 12-03-2025

বিহারের দারভঙ্গায় হোলি এবং জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শহরের মেয়র অঞ্জুম আরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, হোলির সময় দুই ঘন্টার জন্য বিরতি নেওয়া উচিত যাতে নামাজে কোনও বাধা না পড়ে।

পাটনা: বিহারের দারভঙ্গায় হোলি এবং জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। মেয়র অঞ্জুম আরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, নামাজের সময় হোলি খেলার উপর দুই ঘন্টার বিরতি আরোপ করা উচিত যাতে ধর্মীয় শান্তি বজায় থাকে। এই বক্তব্যের উপর বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তাকে "সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা" বলে অভিহিত করেছে, অন্যদিকে জেডিইউ মেয়রের সমর্থন করেছে। এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছে এবং এখন জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের দিকেই সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ।

মেয়র অঞ্জুম আরার বক্তব্য, ‘হোলিতে দুই ঘন্টার বিরতি হোক’

দারভঙ্গার মেয়র অঞ্জুম আরা জেলা শান্তি সমিতির বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বলেছেন যে, জুমার নামাজের সময় পরিবর্তন করা যায় না, তাই হোলি খেলার সময় দুপুর ১২:৩০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত মসজিদ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। তিনি বলেছেন যে, সমাজে কিছু অসামাজিক উপাদান পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাই শান্তি বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

মেয়র অঞ্জুম আরার এই বক্তব্যের উপর বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। দলের বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বলেছেন, "হোলিতে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। মেয়রের সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা আছে। হোলি কখনো থেমে থাকে নি, থেমে থাকবে না।"

জেডিইউ-এর সমর্থন, রাজনীতি উত্তপ্ত

উল্লেখ্য যে, মেয়র অঞ্জুম আরা ২০২৩ সালে জেডিইউ-তে যোগদান করেছিলেন। জেডিইউ নেতারা তাঁর বক্তব্যের সমর্থন করে তাকে শান্তি বজায় রাখার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি এবং জেডিইউ-এর মধ্যে টানাপোড়েনের ফলে বিহারের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মেয়র তার দাবী জেলা প্রশাসনের কাছেও তুলে ধরেছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এই বিতর্কের ফলে দারভঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সতর্কতা বেড়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় হলো প্রশাসন কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় এবং এই বিষয়টি কতটা রাজনৈতিক রূপ নেয়।

Leave a comment