উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলার মাণা অঞ্চলের কাছে শুক্রবার ভয়াবহ हिমস্খলনের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৫৫ জন শ্রমিক বরফের নিচে চাপা পড়ে, যাদের মধ্যে ৫০ জনকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
চমোলি: উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলার মাণা অঞ্চলের কাছে শুক্রবার ভয়াবহ हिমস্খলনের ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৫৫ জন শ্রমিক বরফের নিচে চাপা পড়ে, যাদের মধ্যে ৫০ জনকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, এবং পাঁচ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার ও প্রতিকার কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে, এবং প্রশাসন, সেনা ও SDRF-এর দল निरন্তর উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত রয়েছে।
উদ্ধার অভিযান অব্যাহত, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার মোতায়েন
উদ্ধার অভিযানের অধীনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, গুরুতর আহত দুইজন শ্রমিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঋষিকেশ AIIMS-এ পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, ITBP এবং SDRF-এর দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে, যখন সেনাবাহিনীর ছয়টি হেলিকপ্টারও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও প্রতিকার কাজের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ফোনে মুখ্যমন্ত্রী ধামীর সাথে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন এবং কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি জেলায় हिমস্খলনের সতর্কতা
উত্তরকাশী, চমোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, পীঠোরাগড় এবং বাগেশ্বর জেলায় हिমস্খলনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, চমোলি জেলায় সর্বাধিক ঝুঁকি বিদ্যমান। বেশি বর্ষণের কারণে গঙ্গোত্রী হাইওয়েসহ অনেক পথ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে স্থানীয়দেরও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চমোলি জেলায় শ্রী বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড সাহেব, অলি এবং জ্যোতির্মঠসহ ৪০টিরও বেশি গ্রাম বরফের চাদরে ঢেকে গেছে।
নিরন্তর বৃষ্টিপাত এবং বরফের কারণে সাধারণ জনজীবন বিঘ্নিত হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে স্থানীয় মানুষদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানে ত্বরা, নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজা অব্যাহত
শনিবার সকালে আবহাওয়া পরিষ্কার হতেই উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে। সেনা ও ITBP-র জওয়ানরা নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজে ব্যস্ত রয়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রীও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ঋষিকেশ AIIMS প্রশাসন হেলিকপ্টার অ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসা দলকে ২৪ ঘন্টা সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। ট্রমা সেন্টারে বিশেষ চিকিৎসকদের দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলে অবিলম্বে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
প্রশাসন স্থানীয়দের এবং পর্যটকদের সতর্ক থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। हिমস্খলন সম্ভাব্য এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে আবহাওয়া দপ্তরের আপডেটগুলির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং যেকোনো জরুরী পরিস্থিতির জন্য দল স্থাপন করা হয়েছে।