বলরামপুর জেলার রাজপুর-কুসমি মার্গে একটি দুর্ঘটনায় একটি তীব্র গতিতে চলমান স্কর্পিও গাড়ির ড্রেনে পড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের সকলেই কুসমি থানা এলাকার লরিমা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জানা গেছে, স্কর্পিও গাড়িটি পানিতে ডুবে যায় এবং দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গাড়ির ভিতরে থাকা সকলেই শ্বাসরোধে মারা যান।
রায়পুর: ছত্তীসগড়ের বলরামপুর জেলায় একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজপুর-কুসমি মার্গে, লডুয়া গ্রামের কাছে, একটি তীব্র গতিতে চলমান স্কর্পিও গাড়ি পানি ভরা একটি গর্তে পড়ে যায়। শনিবার রাত ৮ টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং স্কর্পিওতে থাকা ৮ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা এবং ১ জন শিশু ছিল। সকলেই কুসমি থানা এলাকার লরিমা গ্রামের বাসিন্দা এবং সুরজপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে স্কর্পিও (নম্বর CG 15 DP 6255) সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা চালককে উদ্ধার করে, কিন্তু অন্যরা গাড়িতে আটকে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
তীব্র গতি মৃত্যুর কারণ
বলরামপুর জেলায় ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর স্কর্পিও গাড়িটি উদ্ধারের পর জানা যায় গাড়িতে থাকা ৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত চালক মুকেশ দাসকে অম্বিকাপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলেও দুর্ভাগ্যবশত সেখানে পৌঁছানোর আগেই তারও মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি যে ড্রেনে ঘটেছে সেটি সড়কের ধারে একটি ক্ষেতের মধ্যে অবস্থিত এবং সেখানে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তীব্র গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবের কারণে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ স্পষ্ট হয়নি। স্কর্পিওর পিছনের অংশ ড্রেনে ডুবে গিয়েছিল এবং তখন ড্রেনে প্রায় ১০ ফুট পানি জমে ছিল, যা তুলনামূলকভাবে কম গভীর ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৮ বছরের শিশু কৃতি, মহিলা চন্দ্রাবতী, মঙ্গল, উদয়, ভূপেন্দ্র এবং সঞ্জয় রয়েছেন। দুর্ঘটনার পর সারা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রশাসন মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।