চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে গোপন ভোটের পরিবর্তে হাত তোলা ভোট

চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে গোপন ভোটের পরিবর্তে হাত তোলা ভোট
সর্বশেষ আপডেট: 04-05-2025

চণ্ডীগড়ের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে। এবার পার্ষদগণ গোপন ভোটের (সিক্রেট ব্যালট) পরিবর্তে প্রার্থীর পক্ষে হাত তুলে ভোট দেবেন। খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং শীঘ্রই প্রশাসকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচন: চণ্ডীগড় পৌর নিগমের মেয়র নির্বাচনের পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত যেখানে পার্ষদগণ গোপন ভোট (সিক্রেট ব্যালট) এর মাধ্যমে তাদের ভোট প্রয়োগ করতেন, সেখানে নতুন খসড়ার অধীনে পার্ষদগণ প্রার্থীর পক্ষে জনসমক্ষে হাত তুলে ভোট দেবেন। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হল নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ করা এবং প্রতি বছর ঘটা ক্রস ভোটিং বিতর্ক রোধ করা।

খসড়া প্রস্তুত, প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে

ডি.সি. অফিসের পক্ষ থেকে এই নতুন খসড়া প্রশাসক গুলাবচাঁদ কাটারিয়ার নির্দেশে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খসড়া শীঘ্রই প্রশাসকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, পার্ষদদের এখন ভোট দেওয়ার সময় প্রার্থীর পক্ষে হাত তোলা বাধ্যতামূলক হবে, যাতে তাদের ভোট জনসমক্ষে স্পষ্ট হয়।

১৯৯৭ সাল থেকে গোপন ভোটে ভোটদান চলে আসছে

এতদিন মেয়র নির্বাচনে গোপন ভোট পদ্ধতি অনুসরণ করা হত, যার সুবিধা প্রায়শই ক্রস ভোটিংয়ের মাধ্যমে দেখা যেত। উদাহরণস্বরূপ, এ বছরের নির্বাচনে তিনটি ভোট ক্রস হয়েছিল, যার ফলে বিজেপির প্রার্থী হরপ্রীত কৌর ববলা জয়ী হয়েছিলেন। বিরোধী দল কংগ্রেস এবং আপ এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত ক্রস ভোটিংকারীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

হাত তোলার মাধ্যমে পার্ষদদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে

সদনে পূর্বেই প্রস্তাব গ্রহণের প্রক্রিয়া হাত তুলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হয়ে আসছে। একই পদ্ধতি এখন নির্বাচনেও প্রযোজ্য হবে। এর ফলে পার্ষদদের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রলোভনের মাধ্যমে ভোট পরিবর্তনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি এবং ক্রয়-বিক্রয়ের উপরও নিয়ন্ত্রণ আসার আশা করা হচ্ছে।

কার্যকাল বৃদ্ধিরও প্রস্তুতি

প্রশাসন শুধু ভোট প্রক্রিয়া নয়, মেয়রের কার্যকালও এক বছর থেকে বাড়িয়ে আড়াই বছর করার বিষয়েও বিবেচনা করছে। তবে এর জন্য লোকসভার অনুমোদন প্রয়োজন, যার ফলে প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হতে পারে। চণ্ডীগড়ে বর্তমানে মেয়র, সিনিয়র ডেপুটি মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের কার্যকাল মাত্র ১ বছর।

Leave a comment