আয়োধ্যায় বৃজভূষণের বিজয় শোভাযাত্রা: আদালতের স্থগিতাদেশের পর রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন

আয়োধ্যায় বৃজভূষণের বিজয় শোভাযাত্রা: আদালতের স্থগিতাদেশের পর রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন
সর্বশেষ আপডেট: 28-05-2025

আয়োধ্যায় বৃজভূষণ শরণ সিংহ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পেয়ে বিজয় শোভাযাত্রা বের করেছেন। ৬০টি গাড়ির কাফেলা এবং হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে হনুমানগড়ী মন্দিরে পূজা করে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করেছেন।

UP News: প্রাক্তন সাংসদ এবং কুস্তি মহাসংঘ (WFI)-এর প্রাক্তন সভাপতি বৃজভূষণ শরণ সিংহ আয়োধ্যায় আবারও তাঁর রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত থেকে POCSO আইনের অধীনে স্থগিতাদেশ পেয়ে তিনি তাঁর গৃহ জেলা আয়োধ্যায় ফিরে এসেছেন, যেখানে তাঁর ব্যাপক স্বাগত জানানো হয়। মহর্ষি वाल्मीकि আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর বিমান নামার সাথে সাথেই ঢোল-ঢাকের শব্দে পরিবেশ গম্ভীর হয়ে ওঠে এবং ফুলের বর্ষণে তাঁর স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি হনুমানগড়ী মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে এই বিজয় যাত্রার সূচনা করেন।

বৃজভূষণ শরণ সিংহের ‘বিজয় শোভাযাত্রা’

এই বিজয় শোভাযাত্রাকে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রায় ৬০টিরও বেশি গাড়ির বিশাল কাফেলা আয়োধ্যার রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, যাতে প্রায় ১০০০-এরও বেশি সমর্থক অংশগ্রহণ করে। যুব সমর্থকরা ‘বৃজভূষণ জিন্দাবাদ’ এবং ‘সত্যের জয় হয়েছে’ স্লোগান দিয়ে পতাকা উড়িয়ে তোলে।

এই পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে শক্তি প্রদর্শনের মতো ছিল, যা বৃজভূষণের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের বার্তা বহন করে। সমর্থকদের এই ভিড় থেকে স্পষ্ট যে তারা তাদের নেতার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস এবং সম্মান রাখেন।

ধর্মীয় আশীর্বাদ নিয়ে শুরু

আয়োধ্যায় পৌঁছে বৃজভূষণ শরণ সিংহ প্রথমে হনুমানগড়ী মন্দিরে পূজা-অর্চনা করেন। বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ নিয়ে তিনি মিডিয়ার সাথে কথা বলে বলেন যে এটি ন্যায়ের জয়। তিনি তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে তাঁদের সংগ্রাম সত্যের জয়ের প্রতীক এবং এই জয় সামনেও অব্যাহত থাকবে।

পরিবারের প্রতিক্রিয়া

বৃজভূষণের ছেলে এবং বিধায়ক প্রতীক ভূষণ সিং X (প্রাক্তন টুইটার)-এ লিখেছেন, “আমরা একটি মিথ্যা এবং অসত্য মামলায় বিচারিক জয় অর্জন করেছি। প্রতিটি অসত্য অভিযোগ এখন বিচারের কাঠগড়ায় ধ্বংস হচ্ছে। এটি সত্যের জয় এবং এই জয় সামনেও অব্যাহত থাকবে।” প্রতীক ভূষণের এই প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট যে পরিবার এই আইনি লড়াইয়ে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করছে এবং রাজনৈতিকভাবে এটি তাদের বড় স্বস্তি দিয়েছে।

অভিযোগ এবং আদালতের স্থগিতাদেশ

বৃজভূষণ শরণ সিংহের উপর মহিলা কুস্তিগিররা যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে একজন অভিযোগকারী ছিলেন নাবালিকা। এই ঘটনা ব্যাপক রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করে। দিল্লি পুলিশ কনট প্লেস থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দুটি FIR দায়ের করেছিল — একটি ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC)-এর ধারা অনুসারে এবং অন্যটি POCSO আইনের অধীনে।

তবে, POCSO আইন সংক্রান্ত মামলায় নাবালিকা অভিযোগকারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে পুলিশ ক্লোজার রিপোর্ট দায়ের করে। এই স্থগিতাদেশের পর বৃজভূষণের অবস্থান শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে, যৌন হয়রানির অন্য মামলায় পাঁচজন মহিলা কুস্তিগিরের অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জশীটও দায়ের করা হয়। এই মামলার শুনানি বর্তমানে চলছে।

আইনি লড়াই অব্যাহত

বৃজভূষণ শরণ সিংহ দিল্লি হাইকোর্টে FIR, চার্জশীট এবং ট্রায়াল কোর্টের কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালত এর আগেও মামলায় অভিযোগকারী নাবালিকা কুস্তিগিরকে সমন জারি করে ২৬ মে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে পুলিশের ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

Leave a comment