রায়বেরেলির বিজেপি নেতা কাসিম নকভী মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে চিঠি লিখে সাহারানপুরের ওরাঙ্গজেবপুর গ্রামের নাম বীর আব্দুল হামিদ অথবা আশফাক উল্লা খানের নামে রাখার দাবি জানিয়েছেন।
UP News: উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার সরসওয়া ব্লকের অবস্থিত ওরাঙ্গজেবপুর গ্রামের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আবারও তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)র সংখ্যালঘু মোর্চার রায়বেরেলির মণ্ডল-ছতোহ সভাপতি কাসিম নকভী এই সংক্রান্তে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একটি চিঠি লিখেছেন। নকভী আবেদন করেছেন যে, গ্রামের নাম কোন আক্রমণকারীর নামের পরিবর্তে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামে রাখা উচিত।
ওরাঙ্গজেবপুর নাম নিয়ে কেন আপত্তি?
কাসিম নকভীর বক্তব্য, তিনি গত ১৭ বছর ধরে দলের আদর্শে কাজ করছেন। তাঁর মতে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আজও রাজ্যের গ্রামে আক্রমণকারী ওরাঙ্গজেবের মতো শাসকদের নাম রয়েছে। নকভী দাবি করেছেন যে, এই ধরণের গ্রামের নাম পরিবর্তন করা উচিত এবং যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান করা উচিত।
তাঁর পরামর্শ, সাহারানপুরের ওরাঙ্গজেবপুর গ্রামের নাম পরিবর্তন করে 'বীর আব্দুল হামিদ', 'আশফাক উল্লা খান' অথবা অন্য কোনও ক্রান্তিকারীর নামে রাখা উচিত। নকভী বলেছেন, এটি জাতীয়তাবাদ এবং সঠিক ইতিহাসের প্রতি একটি সঠিক পদক্ষেপ হবে।
নকভীর আবেদন: জাতীয়তাবাদ এবং গৌরবের প্রশ্ন
কাসিম নকভী নিজেকে জাতীয়তাবাদী মুসলমান বলে উল্লেখ করে লিখেছেন যে, তিনি গর্বিত যে তিনি যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে কাজ করছেন। তাঁর মতে, সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, কোনও স্থানের নাম এমন ব্যক্তির নামে নয় যারা ইতিহাসে আক্রমণকারী ছিলেন।
তিনি লিখেছেন, এই ধরণের আক্রমণকারীদের নাম সরিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী নায়কদের সম্মান দেওয়া উচিত। নকভীর বিশ্বাস, এই পদক্ষেপ সমাজে ইতিবাচক বার্তা প্রেরণ করবে এবং তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব
নাম পরিবর্তনের এই দাবি শুধুমাত্র রাজনীতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নকভীর যুক্তি, এটি সমাজে জাতীয় ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শক্তিশালী করবে। এতে বার্তা যাবে যে, ভারতে প্রতিটি ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সেই নায়কদের স্মরণ করা হয় যারা ভারত মাতার রক্ষার জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন।
সরকারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা
সূত্রের খবর, এই দাবিতে মঙ্গলবার বিস্তারিত আলোচনা হবে। রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবে কী অবস্থান নেয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ইউপি সরকার এর আগেও অনেক ঐতিহাসিক স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে, যেমন ইলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজ এবং মোগলসরাইয়ের নাম পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর করা হয়েছে। ফলে ওরাঙ্গজেবপুরের নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে।