কার্তিক পূর্ণিমায় বিহারের বিভিন্ন ঘাটে স্নান করতে আসা তীর্থযাত্রীদের বিশাল সমাগম দেখা গেছে। কার্তিক পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ এটি ভগবান শিব এবং ভগবান বিষ্ণু উভয়ের সাথেই সম্পর্কিত।
কার্তিক পূর্ণিমার দিন বিহারের বিভিন্ন শহরের গঙ্গা ঘাটে মানুষের অভূতপূর্ব ভিড় জমেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব, যা কার্তিক মাসের পূর্ণিমার দিন পালিত হয়। এই দিনে মানুষ গঙ্গা নদীতে স্নান করে পুণ্য লাভ করে। কার্তিক পূর্ণিমায় মানুষ অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে গঙ্গাস্নান, পূজা-অর্চনা এবং দান করা অন্যতম। এই উৎসব হিন্দু ধর্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমগ্র ভারতে শ্রদ্ধা ও উৎসাহের সাথে পালিত হয়।
পটনা ঘাটে তীর্থযাত্রীদের ভিড়
শিবহর: দেকুলি ধামে ভিড় জমেছে তীর্থযাত্রীদের
সিমরিয়া ঘাটে তীর্থযাত্রীদের ভিড়
পটনার গঙ্গা ঘাটে তীর্থযাত্রীদের অভূতপূর্ব ভিড়
কার্তিক পূর্ণিমার দিন, শুক্রবার, উপজেলা অঞ্চলে গঙ্গার তীরে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী স্নান করে দান-পুণ্য করেছেন। সকাল থেকেই ঘাটগুলিতে স্নানের জন্য তীর্থযাত্রীদের ভিড় জমতে থাকে। এই সময় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা মহিলাদের সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। অশোক রাজপথ এবং অন্যান্য যোগাযোগ পথে সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘাটে উপস্থিত ওঝা-গুণীরা সারাদিন মানুষের ঝাড়ফুঁকে ব্যস্ত ছিলেন। সূর্যোদয়ের আগেই গঙ্গার তীরে স্নানের জন্য ভিড় জমতে শুরু করে। পণ্ডিত অবধ বিহারী পান্ডে জানান, কার্তিক পূর্ণিমার হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিন স্নান করলে অজান্তে করা পাপ ধুয়ে যায়।
ঘাটে উপস্থিত ওঝা-গুণীরা সারাদিন মানুষের ঝাড়ফুঁকে ব্যস্ত ছিলেন। সূর্যোদয়ের আগেই গঙ্গার তীরে স্নানের জন্য ভিড় জমতে শুরু করে। পণ্ডিত অবধ বিহারী পান্ডে জানিয়েছেন, কার্তিক পূর্ণিমার হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিন স্নান করলে অজান্তে করা পাপ ধুয়ে যায়।
পূজা-অর্চনা করতে তীর্থযাত্রীরা
স্নানের পর ভক্তরা বড়ী পটনদেবী, ছোটো পটনদেবী, অগমকুয়া শীতলা মা মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দিরে গিয়ে পূজা-অর্চনা করেছেন। সন্ধ্যায় তীর্থযাত্রীরা মা গঙ্গার আরতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গঙ্গাস্নানের পর ভক্তরা নদীর ধারায় দীপদান করেছেন। গঙ্গার আরতির পর ভক্তরা গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা করবেন।