বিহারে নগর নিগম পার্ষদ সংঘ অভিযোগ করেছে যে, নগর সরকার সবজি মণ্ডি ও যানবাহন পার্কিং শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। পার্ষদদের দাবি, আদায়কৃত অর্থের মাত্র এক-চতুর্থাংশ নগর নিগমের কোষাগারে যাচ্ছে, বাকি তিন-চতুর্থাংশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
নগর নিগম পার্ষদ সংঘের ব্যানারে আড়াই ডজনের বেশি পার্ষদ সাহু রোডস্থিত একটি বিবাহ ভবনে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে নগর সরকারের উপর সবজি মণ্ডি ও যানবাহন পার্কিং শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনে। পার্ষদদের দাবি, সবজি মণ্ডি থেকে আদায়কৃত অর্থের মাত্র এক-চতুর্থাংশ নগর নিগমের কোষাগারে যায়, বাকি তিন-চতুর্থাংশ অন্যত্র চলে যায়। যানবাহন পার্কিং শুল্ক আদায় দুই ধরণের রশিদের মাধ্যমে করা হচ্ছে।
একটি নিগম কর্তৃক জারি করা রশিদ, যা নিগমের কোষাগারে যায় এবং অন্যটি ভুয়ো রশিদ, যার মাধ্যমে বড় অংকের টাকা অন্যের পকেটে চলে যাচ্ছে। এতে নিগমের রাজস্বে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রধান পার্ষদদের মধ্যে ছিলেন চান্দা দেবী, পূর্ণিমা দেবী, মীরা দেবী, সাইফ আলি এবং অমিত কুমার। তারা নগর সরকারের কাছে দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
টেন্ডার ছাড়াই হচ্ছে আয়
পার্ষদরা অভিযোগ করেছেন যে, গত বিত্তীয় বছরে ঘিরনি পোখর সবজি মণ্ডি থেকে ২৬ লক্ষ টাকা এবং কাটাহী পুল সবজি মণ্ডি থেকে ১২ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছিল, কিন্তু এ বছর অবৈধ আয়ের জন্য টেন্ডার করা হয়নি এবং বিভাগীয়ভাবে আদায় করা হচ্ছে। ঘিরনি পোখর থেকে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা আদায় হলেও নিগমের কোষাগারে মাত্র ৫ হাজার টাকা জমা হচ্ছে। একইভাবে কাটাহী পুল সবজি মণ্ডি থেকে প্রতিদিন ৯ হাজার টাকা আদায় হলেও নিগমের কোষাগারে মাত্র ৩ হাজার টাকা জমা হচ্ছে।
এক সদস্যকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও সবজি দেওয়া হচ্ছে
পার্ষদরা অভিযোগ করেছেন যে, সবজি মণ্ডি থেকে সবজি ও ফলের সাথে সাথে আদায় করা হচ্ছে, যা কিছু লোকের বাড়ির রান্নাঘরে পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। তারা জানিয়েছেন যে, সশক্ত স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও সবজি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, যানবাহন পার্কিং শুল্ক আদায় দুই ধরণের রশিদের মাধ্যমে হচ্ছে, যার মধ্যে একটি রশিদ থেকে আদায়কৃত অর্থের বন্টন করা হচ্ছে। পার্ষদরা মেয়র, সশক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য, নগর নিগমের স্থাপনা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আদায়ের সাথে জড়িত কর্মীদের উপর অর্থ বন্টনে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন।
```