বিহার নির্বাচনের পূর্বে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা। জেডিইউ-র প্রাক্তন বিধায়ক সুরেশ চঞ্চল ও হাজী পরভেজ সিদ্দিকী কংগ্রেসে যোগদান করলেন। উভয়েই নীতীশ কুমারের উপর বিজেপির সাথে মিলে কাজ করার অভিযোগ এনেছেন।
Bihar Politics: বিহারের রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েই চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে জেডিইউ-র দুইজন বড় নেতা দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। ওই নেতারা হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুরেশ চঞ্চল ও হাজী পরভেজ সিদ্দিকী। বুধবার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমারের উপস্থিতিতে উভয়েই কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এই পদক্ষেপে বিহারের রাজনৈতিক চিত্রে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
সুরেশ চঞ্চল ও হাজী পরভেজ কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করলেন
সাকরা থেকে জেডিইউ-র প্রাক্তন বিধায়ক সুরেশ চঞ্চল ও হাজী পরভেজ সিদ্দিকী বুধবার কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। উভয় নেতাকে স্বাগত জানান কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার। এই উপলক্ষে সুরেশ চঞ্চল বলেন, তিনি কংগ্রেসের জাতীয় নেতা রাহুল গান্ধীর কাজ ও তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত। সেইজন্যই তিনি কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস, কংগ্রেসই বিহারে উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়ের সঠিক পথ দেখাতে পারে।
অন্যদিকে, হাজী পরভেজ সিদ্দিকী নীতীশ কুমারের উপর তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারকে কিছু শক্তিশালী ব্যক্তি দখল করে ফেলেছেন, যার ফলে তিনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, নীতীশ কুমার ও বিজেপির নীতিতে এখন কোনও পার্থক্য নেই। উভয়ই একইরকম চিন্তাধারা ও কাজ করছে, যা বিহারের কল্যাণে নয়।
রাজেশ কুমার নীতীশ কুমারের উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন
কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার বলেন, নীতীশ কুমার সামাজিক ন্যায়ের নামে ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি সামাজিক ন্যায়ের সাথে অন্যায় করছেন। তিনি ওয়াকফ বিল নিয়ে বিজেপির সাথে নীতীশ কুমারের সমর্থনের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি যেভাবে এই বিল নিয়ে এসেছে, তাতে এনডিএ-র প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে।
রাজেশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বিহার সফর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, বিহারের জন্য আগে ঘোষিত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন প্যাকেজের কী হলো? তিনি আরও বলেন, বিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে এবং অপরাধ বেড়ে চলেছে। এনডিএ সরকার কেন এই দিকে নজর দিচ্ছে না?
