ভারতের সীমান্ত আবার সতর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা নীতির অধীনে শুক্রবার, ৩১শে মে ‘অপারেশন শিল্ড’ শুরু হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি মক ড্রিল নয়, বরং ভারতের শত্রুদের জন্য একটি কঠোর বার্তা।
অপারেশন শিল্ড: অপারেশন সিন্দুরে ব্যর্থতার পরে উত্তেজিত পাকিস্তান যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে মোদী সরকার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার জন্য অপারেশন শিল্ড শুরু করেছে। এই অপারেশনের অধীনে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরীক্ষা এবং প্রস্তুতি পরীক্ষা করার জন্য নাগরিক সুরক্ষার মক ড্রিল করা হচ্ছে।
আজ অপারেশন শিল্ডের অধীনে দ্বিতীয় মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা।
কী অপারেশন শিল্ড?
অপারেশন শিল্ড ভারত সরকার কর্তৃক পরিচালিত নাগরিক সুরক্ষা এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ক্ষমতার একটি দেশব্যাপী পরীক্ষা। এই মক ড্রিল বিশেষ করে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়।
এই অনুশীলনের উদ্দেশ্য সম্ভাব্য যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিক, সিভিল ডিফেন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং প্রতিক্রিয়া সময় মূল্যায়ন করা।
কোন কোন ব্যক্তি জড়িত থাকবে?
- NDRF (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স)
- SDRF (স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স)
- ফায়ার ব্রিগেড এবং পুলিশ বাহিনী
- রেলওয়ে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ
- সিভিল ডিফেন্স ওয়ার্ডেন, স্বেচ্ছাসেবক, NCC, NSS, NYKS এবং স্কাউটস
- স্থানীয় প্রশাসন এবং মেডিকেল জরুরি দল
এই ব্যাপক অনুশীলন সন্ধ্যে ৫ টায় শুরু হবে এবং রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে, যার সময় ব্ল্যাকআউট, এয়ার রেইড সাইরেন, ড্রোন আক্রমণের অনুকরণ, এবং জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে কাজ করা হবে।
নাগরিকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে
এই মক ড্রিল শুধুমাত্র নিরাপত্তা সংস্থাগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ নাগরিকদেরও শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। গ্রাম, শহর এবং সীমান্তবর্তী শহরগুলিতে মানুষকে বলা হচ্ছে যে এয়ার রেইড সাইরেন শোনার সাথে সাথে কীভাবে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো যায়, লাইট কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং কোন বিস্ফোরণের পরে কী করতে হবে।
পাকিস্তানে আতঙ্ক
অপারেশন শিল্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পৌঁছানোর সাথে সাথেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে যে অপারেশন সিন্দুরে ভারতের বড় সামরিক সাফল্যের পর পাকিস্তান এখন ভীত। সেনাপ্রধান মুনিরের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আতঙ্কে আছে যে ভারত পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী কানপুর সমাবেশে যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে "ভারত এখন কেবল প্রতিক্রিয়া দেবে না, বরং কর্মের আগে প্রস্তুতি নেবে", তা পাকিস্তানের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
- কেন এই মক ড্রিল প্রয়োজন?
- সীমান্তপার থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি
- ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা
- সামূহিক অনুপ্রবেশের কৌশল
- রাসায়নিক, জৈবিক বা গ্যাস লিকের মতো হামলার সম্ভাবনা
এই সমস্ত পরিস্থিতির জন্য ভারতকে একটি একীভূত কৌশল এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সময়ের প্রয়োজন। অপারেশন শিল্ড এই পরিস্থিতিগুলির জন্য পূর্বপরিকল্পনা। ড্রিলের সময় সাধারণ নাগরিকদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নকল বিস্ফোরণ, গ্যাস লিক, সামূহিক পালিয়ে যাওয়া, অগ্নিসংযোগ এবং সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের মতো পরিস্থিতি মানুষের সামনে উপস্থাপন করে তাদের সংকটের সময় চিন্তাভাবনা, বোঝা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।