ভারত-পাক তীব্রতার মধ্যে রাজস্থানের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে স্কুল বন্ধ, ফ্লাইট বাতিল, বঙ্কার সক্রিয়, সেনা মোতায়েন। প্রশাসন ও সংস্থাগুলি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
Rajasthan News: ভারতের পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (এয়ার স্ট্রাইক) চালানোর পর রাজস্থানের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সাধারণ জনজীবনে। बीकानेर, बाड़मेर, जैसलमेर এবং श्रीगंगानगर জেলাগুলিতে সাবধানতা হিসেবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে জোধপুর ও কিশনগড় বিমানবন্দর থেকে উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
ভারতের এয়ার স্ট্রাইক
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর অধীনে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনী রাজস্থানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ব্যবহার করেছে, যার ফলে রাজস্থানের কৌশলগত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হামলার পর সীমান্তে সেনা ও अर्धसैनिक বাহিনীর মোতায়েন ও নজরদারি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্কুল ও আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি
নিরাপত্তার কারণে রাজস্থান সরকার बीकानेर, जैसलमेर, बाड़मेर এবং श्रीगंगानगर জেলাগুলির সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুল এবং আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। শিক্ষা দপ্তর স্পষ্ট নির্দেশ জারি করেছে যে শিশু ও শিক্ষকদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
বিমান চলাচলে প্রভাব
রাজ্যের জোধপুর ও কিশনগড় বিমানবন্দর থেকে 10 মে পর্যন্ত সকল উড়ান বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে চারটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট দেখার জন্য।
সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
बीकानेर জেলা প্রশাসন সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের মূল কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছে এবং প্রতিটি জরুরী অবস্থার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সীমান্ত অঞ্চলে বঙ্কারের ব্যবস্থা
সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের পূর্ব নির্মিত বঙ্কারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী, পানীয় জল, ঔষধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বঙ্কারে সরবরাহ করা হয়েছে। পশুপালনের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সতর্কতা
রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, জনবহুল বাজার, ধর্মীয় স্থান এবং অন্যান্য সংবেদনশীল স্থানে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও সক্রিয় অবস্থায় রাখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোনো গুজব রোধ করার জন্য সাইবার সেল সক্রিয় রয়েছে এবং ক্রমাগত নজরদারি করছে।
জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা
জেলা হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত রক্তের মজুত, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের আবেদন ও নির্দেশিকা
রাজ্য সরকার জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে তারা গুজবে কান না দিয়ে শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপরই বিশ্বাস রাখবে। অপ্রয়োজনীয় খাদ্য বা জ্বালানি মজুত করার থেকে বিরত থাকবে কারণ সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিয়মিত চলছে। যেকোনো সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের তথ্য অবিলম্বে পুলিশ বা প্রশাসনকে জানাতে হবে।