কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ মহারাষ্ট্র সফরে আছেন। তিনি শিবাজি মহারাজের পুণ্যতিথিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন এবং সুনীল তটকারের সাথে দেখা করে মহাযুতি বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করবেন।
রায়গড়, মহারাষ্ট্র – কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর দুদিনের মহারাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। এই সফরের সময় তিনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ৩৪৫তম পুণ্যতিথিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। অমিত শাহের এই ভ্রমণের সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে মহাযুতি জোটে চলমান আভ্যন্তরীণ বিরোধের মধ্যে।
রায়গড়ে শাহের বিস্তারিত কর্মসূচী
শনিবার সকাল প্রায় ১০:৩০ টা থেকে অমিত শাহ রায়গড় জেলায় জিজামাতা স্মৃতিসৌধ (Jijamata Memorial) পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি রায়গড় দুর্গে যাবেন, যা একসময় মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। দুর্গে তিনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং স্মারক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
রাজনৈতিক ভঙ্গিমা: সুনীল তটকারের বাড়িতে দুপুরের খাবার
অমিত শাহ শিবসেনা নেতা সুনীল তটকারের বাসভবনেও যেতে পারেন, যেখানে দুপুরের খাবারের আয়োজন রয়েছে। এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ তটকারের কন্যা অদিতি তটকারের রায়গড়ের রক্ষক মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে মহাযুতিতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল।
মহাযুতি জোটে মীমাংসার চেষ্টা?
জানা গেছে, অমিত শাহের এই সফর কেবল সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর উদ্দেশ্য মহাযুতি জোটে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করাও। উল্লেখ্য, এর আগে একনাথ শিন্ডে অদিতি তটকারের নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছিলেন, যার ফলে জোটে ফাটল ধরেছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস রায়গড় এবং নাশিকের সকল নিয়োগ স্থগিত করে দিয়েছিলেন।
শাহের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য
এই সফরের মাধ্যমে অমিত শাহ যেখানে মারাঠা ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানাচ্ছেন, সেখানে রাজনৈতিকভাবে মহাযুতিকে একত্রিত করার দিকেও পদক্ষেপ নিচ্ছেন।