গাজিয়াবাদে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেফতার

গাজিয়াবাদে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বাবা গ্রেফতার
সর্বশেষ আপডেট: 18-03-2025

উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে মানবতাকে লজ্জিত করার মতো একটা ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন বাবা তার ৭ বছরের মেয়ের সাথে নির্মমতা করে এবং পরে তার হত্যা করে।

লখনউ: গাজিয়াবাদের লোনি এলাকায় একজন বাবা তার ৭ বছরের মেয়ের সাথে ধর্ষণের পর তার হত্যা করেছে। তার ঘৃণ্য কাজ গোপন করার জন্য সে পাশের একজন মহিলার উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে বলেছে যে, ওই মহিলা পাঠানো কড়ি-চাউল খাওয়ার পরে মেয়েটির অসুস্থতা হয় এবং তার মৃত্যু হয়। পুলিশ প্রথমে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মেয়েটির সাথে ধর্ষণের কথা প্রকাশ পায়। এরপর পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে, যিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।

লোনি এলাকার ভয়াবহ ঘটনা

দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের লোনি এলাকায় এই হৃদয়বিদারক ঘটনা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। একজন বাবা তার নিজের ৭ বছরের মেয়ের সাথে ধর্ষণ করে তার হত্যা করেছে। এরপর গ্রেফতার থেকে বাঁচার জন্য সে পাশের একজন মহিলাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত বাবা পুলিশকে জানিয়েছে যে, পাশের মহিলা তাদের বাড়িতে কড়ি-চাউল পাঠিয়েছিল, যা তার দুই মেয়ে খেয়েছিল। খাওয়ার পর দুই মেয়েরই অসুস্থতা হয় এবং কিছুক্ষণ পরে এক মেয়ের মৃত্যু হয়। বাবা নির্দোষ মেয়ের মৃত্যুর জন্য ওই পাড়শী মহিলাকে দায়ী করে।

বাবা অপরাধ স্বীকার করেছে

পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে অবিলম্বে পাড়শী মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং মেয়েটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশের পায়ের নিচে মাটি সরে যায়। রিপোর্টে প্রকাশ পায় যে মেয়েটির সাথে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্ত বাবার সাথে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করে, এবং সে তার অপরাধ স্বীকার করে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কয়েকটি গুরুতর ধারায় FIR দায়ের করেছে। পাশাপাশি নির্দোষ পাড়শী মহিলাকে জেলে থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদনও করেছে।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনা আবারও সমাজে মানবতা এবং সম্পর্কের উপর প্রশ্ন তুলে ধরেছে। নির্দোষ মেয়েটির মৃত্যু এবং তার সাথে যে নির্মমতা করা হয়েছে তা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

Leave a comment