সরকার ইপিএফ সুদের হার ৮.২৫% এ অপরিবর্তিত রেখেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৭ কোটিরও বেশি কর্মীর উপকার হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য এই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ইপিএফ সুদ: কেন্দ্রীয় সরকার ইপিএফ (কর্মচারী ভবিষ্যনিধি) -এর লক্ষ লক্ষ সদস্যদের জন্য একটি বড় সুসংবাদ দিয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য ইপিএফ-এর সুদের হার ৮.২৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরও এটিই ছিল সুদের হার। এই সিদ্ধান্ত দেশের ৭ কোটিরও বেশি পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের উপকার করবে এবং তাদের জমা টাকায় ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে। এই খবরে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য ভবিষ্যৎ তহবিল নিয়ে একধরণের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
ইপিএফ সুদের হার ৮.২৫% এ অপরিবর্তিত
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪-এ নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মন্ডাবিয়ার সভাপতিত্বে ইপিএফও-এর কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের ২৩৭তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য ইপিএফ সুদের হার ৮.২৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। পরবর্তীতে সরকার এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ইপিএফও-এর সাত কোটিরও বেশি সদস্যের অ্যাকাউন্টে এই সুদের হিসেবে টাকা জমা করা হবে।
ইপিএফ সুদের হার কেন বিশেষ?
ইপিএফ-এর সুদের হার সাধারণ সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট বা অন্যান্য অনেক বিনিয়োগের তুলনায় বেশি স্থিতিশীল এবং ভালো রিটার্ন দেয়। এই হার বার্ষিক নির্ধারণ করা হয় এবং সরকারের অনুমোদনের পরে কার্যকর হয়। ইপিএফ-এ জমা টাকায় পাওয়া এই সুদ কর্মচারীর অবসরের পর তার সঞ্চয়কে আরও শক্তিশালী করে। তাই প্রতি বছর এই সুদের হার নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফেব্রুয়ারী ২০২৪-এ সুদের হারে হয়েছিল সামান্য বৃদ্ধি
ফেব্রুয়ারী ২০২৪-এও ইপিএফও পূর্ববর্তী অর্থবর্ষ ২০২২-২৩-এর ৮.১৫% সুদের হার বৃদ্ধি করে ৮.২৫% করেছিল। সেই সময় কর্মীদের জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর ছিল, কারণ অনেক বিনিয়োগের হার ক্রমাগত কমছিল। এইবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্যও একই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইপিএফ সুদের হারে পূর্ববর্তী হ্রাসের ইতিহাস
মার্চ ২০২২-এ ইপিএফও ইপিএফ-এর সুদের হার ৮.৫% থেকে কমিয়ে ৮.১% করেছিল, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই হ্রাস করা হয়েছিল। তবে, এখন সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে সরকার বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে যে, ইপিএফ-এ তাদের টাকা নিরাপদ এবং তা থেকে ভালো আয় হবে।
সুদের হার নির্ধারণের পদ্ধতি কী?
ইপিএফও প্রতি বছর অর্থবর্ষ শুরুর আগে সুদের হারের প্রস্তাব প্রণয়ন করে। এরপর এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, যেখানে আর্থিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় সরকার সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই বছরও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং ৮.২৫% হার অনুমোদন পেয়েছে।
৭ কোটিরও বেশি পিএফ সদস্যদের জন্য এর অর্থ কী?
৭ কোটিরও বেশি কর্মীর পিএফ অ্যাকাউন্টে বার্ষিক ৮.২৫% সুদের হার অনুযায়ী টাকা বাড়বে। এর সরাসরি সুবিধা হলো তাদের সঞ্চয় অবসরের সময় বেশি হবে। বেসরকারি খাতে কাজ করা হাজার হাজার কর্মী এই ইপিএফ-এর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
কেন পিএফ সুদের হারের খবর গুরুত্বপূর্ণ?
পিএফ-এ জমা টাকা কর্মচারীর জন্য একধরণের ভবিষ্যৎ তহবিল, যা চাকরির সময় তাদের সঞ্চয়ের প্রধান উৎস। এই সুদের হার নির্ধারণ করা তাই গুরুত্বপূর্ণ যাতে কর্মীরা জানতে পারে তাদের পরিশ্রমের উপার্জনের উপর তারা কত রিটার্ন পাচ্ছে। সরকার ও ইপিএফও-এর এই সিদ্ধান্ত কর্মীদের উৎসাহবর্ধন করে।
