ঝারখণ্ডের হাজারিবাগে এদিনগুলিতে অপরাধীদের তাণ্ডব দেখা যাচ্ছে। রঙ্গদারীর অজুহাতে অপরাধীরা বড়কাগাঁওয়ে পাঁচটি ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, গত দশ দিনের মধ্যে ১৩টি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বড়কাগাঁও: বালি উত্তোলন থেকে লাভের অংশীদারিত্ব চেয়ে অপরাধীরা আবারও তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বড়কাগাঁওয়ে পাঁচটি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে এটি তৃতীয় ঘটনা এবং এ পর্যন্ত ১২টি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হরলী পঞ্চায়েতের সমসী বাগী ওভারব্রিজের কাছে দুটি ট্রাক্টর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং তিনটি ট্রাক্টরের আগুন গ্রামবাসীরা সময়মতো নেভাতে পেরেছে। অপরাধীদের শিকার হয়েছেন সুনীল কুমার শর্মা, সুধীর কুমার শর্মা, সামু মহতো, অমরীশ কুমারের পিতা গণেশ কুমার মহতো, ছত্রধারী কুমার, পিতা জিতেন মহতো, পঞ্চম কুমার মহতো।
অপরাধীরা ঘটনাস্থলে রেখে গেছে চিঠি
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধীরা ঘটনাস্থলে একটি হুঁশিয়ারিপূর্ণ চিঠি রেখে গেছে। চিঠিতে লেখা আছে যে, ট্রাক্টর ইউনিয়ন তাদের বারবার উপেক্ষা করেছে। যতক্ষণ না তাদের পুরো টাকা পাওয়া যাবে, ততক্ষণ ট্রাক্টর মালিকদের বিরাট ক্ষতি সহ্য করতে হবে। ৫-৬ দিনের মধ্যে সকল ট্রাক্টর মালিককে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করতে হবে। চিঠিতে আরও লেখা আছে, যদি বড়কাগাঁওয়ের কোনও ট্রাক্টর মালিক পুলিশকে খবর দেয়, তাহলে তার পরিবারের কোনও সদস্যকে হত্যা করা হবে।
দশ দিন আগে চারটি ট্রাক্টর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল
অপরাধীরা অবৈধ চোরাচালানে জড়িত ট্রাক্টর মালিকদের উদ্দেশ্যে ১৪ মে বড়কাগাঁও থানা এলাকার সাঁঢ গ্রামে রাতে তিনটি ট্রাক্টর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু গ্রামবাসীরা ট্রাক্টরগুলিকে বাঁচাতে পেরেছিল। সেসময়ও একই দল প্রতি ট্রাক্টর দুই হাজার টাকা করে মাসিক দিতে চেয়েছিল।
জানা গেছে, ১৮ মে বৃহস্পতিবার রাতে কাণ্ডতরী গ্রামে আরেকটি ঘটনা ঘটে। চারটি ট্রাক্টরের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, আর একটি ট্রাক্টর বাঁচানো গেছে। কাণ্ডতরী গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ কুমার সেনী, শেখর কুমার চৌধুরী এবং অজয় কুমার সেনীর ট্রাক্টর পুড়ে গেছে। তবে অজয় কুমার সেনীর গাড়িটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
