সিকরের যুব কংগ্রেসের ত্রিবর্ণ পদযাত্রা: ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

সিকরের যুব কংগ্রেসের ত্রিবর্ণ পদযাত্রা: ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
সর্বশেষ আপডেট: 15-05-2025

গত বুধবার রাজস্থানের সিকর জেলায় যুব কংগ্রেস দেশের সুরক্ষা ও সৈনিকদের অদ্বিতীয় বীরত্বকে সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সমর্থনে একটি বর্ণাঢ্য ত্রিবর্ণ পদযাত্রার আয়োজন করে।

সিকর: দেশের সুরক্ষা ও সৈনিকদের অদ্বিতীয় বীরত্বকে উৎসর্গীকৃত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সমর্থনে রাজস্থানের সিকর জেলায় গত বুধবার যুব কংগ্রেস একটি বর্ণাঢ্য ত্রিবর্ণ পদযাত্রার আয়োজন করে। এই পদযাত্রার মাধ্যমে যুব কর্মীরা দেশের সেই সাহসী জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন, যারা সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করে বীরত্বপূর্ণ মৃত্যুবরণ করেছেন।

অপারেশন সিন্দুর: জাতীয় সুরক্ষার নতুন অধ্যায়

‘অপারেশন সিন্দুর’ হল ভারতের সেনাবাহিনী কর্তৃক সম্প্রতি সীমান্ত পারাপার করে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জবাবে পরিচালিত একটি বিশেষ সামরিক অভিযান। এই অভিযানের সময় অনেক সন্ত্রাসবাদী আস্তানা ধ্বংস করা হয় এবং দেশের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই মিশনের সময় কিছু ভারতীয় সেনাও বীরত্বপূর্ণ মৃত্যুবরণ করেন, তাদের শাহাদাতকে সম্মান জানানোর জন্য এই পদযাত্রা আয়োজন করা হয়।

ত্রিবর্ণ পদযাত্রার উদ্বোধন ও রূপ

ত্রিবর্ণ পদযাত্রা শুরু হয় স্থানীয় ঘণ্টাঘর চৌরাস্তা থেকে, যেখানে বহু সংখ্যক যুব কংগ্রেস কর্মী হাতে ত্রিবর্ণ নিয়ে দেশাত্মবোধক স্লোগানে একাত্ম হন। ‘भारत माता की जय’, ‘শহীদরা অমর থাকবেন’, এবং ‘অপারেশন সিন্দুর - বীরত্বের প্রতীক’ এইরকম গগনবিদার স্লোগানে সিকরের রাস্তাগুলো দেশাত্মবোধে মুখরিত হয়ে ওঠে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী যুবকরা সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে কাঁধে ত্রিবর্ণ উড়িয়ে এবং শহীদদের নামে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। পথে স্থানীয় দোকানদার, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষও পুষ্পবৃষ্টি করে এই পদযাত্রার সমর্থন জানায়।

যুব কংগ্রেসের বার্তা: শাহাদাত ভুলে যাওয়া হবে না

যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ আবারও প্রমাণ করেছে যে ভারত তার বীর জওয়ানদের ত্যাগকে কখনও বৃথা যাবে না। এই পদযাত্রা শুধুমাত্র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নয়, বরং দেশের রক্ষার প্রতি আমাদের সচেতনতা ও সমর্থনের প্রতীক। তিনি আরও বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করছি যে শহীদ জওয়ানদের পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ, সম্মান ও স্থায়ী সহায়তা প্রদান করা হোক। পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও বেশি প্রযুক্তিগত শক্তি দিয়ে শক্তিশালী করা হোক।

ছাত্র ও নারীদের অংশগ্রহণ

এই পদযাত্রার একটি বিশেষ দিক হল, এতে শুধুমাত্র দলীয় কর্মীই নয়, বহু সংখ্যক কলেজ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও নারীও অংশগ্রহণ করে। অনেক নারী কর্মী ‘শহীদদের সালাম’ এবং ‘আমরা এক’ এই ধরণের পোস্টার নিয়েছিলেন। ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি অনুষ্কা বর্মা বলেন, “আমরা আমাদের সৈনিকদের নিয়ে গর্বিত এবং তাদের ত্যাগকে সর্বদা স্মরণ করব।”

পদযাত্রার শেষে শহীদ স্মৃতিসৌধে একযোগে নীরবতা পালন করা হয় এবং সকলে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের ছবির উপর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গানের পরিবেশনা দেন, যা পরিবেশকে আরও আবেগঘন করে তোলে।

Leave a comment