ভোজপুর জেলায় রাতের বেলায় এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে মৃতের মামাতো ভাই ও জেঠামশাইয়ের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনার তদন্ত এফএসএল টিম ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে করা হচ্ছে।
পাটনা: বিহারের ভোজপুর জেলার উদওয়ন্তনগর থানা এলাকার বধার গ্রামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যার ফলে গোটা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা সোমবার রাতের, এবং যুবকটির পরিচয় ২০ বছর বয়সী বিকাশ কুমার হিসেবে জানা গেছে। বিকাশ কুমার জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মৃতদেহটি জব্দ করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকাশ কুমারের হত্যা মাথার ডান দিকে গুলি করে করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ঘটনার তদন্তে ব্যস্ত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এফএসএল (ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাব)-এর টিমকেও ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে যাতে করে ঠোস প্রমাণ সংগ্রহ করা যায়। পুলিশের দাবি, তারা সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করছে যাতে করে এই হত্যার কারণগুলি জানা যায়।
আত্মীয়স্বজনের বক্তব্য থেকে হত্যার সময়ের পরিস্থিতি স্পষ্ট
জানা গেছে, মৃত বিকাশ কুমার সোমবার রাতে তার মামাতো ভাই ও জেঠামশাইয়ের সাথে খাওয়া-দাওয়া করে বোরিংয়ে শুতে গিয়েছিল। বোরিং এক ধরণের জলের উৎস, যেখানে মানুষজন পানি নিতে বা শুতে যায়। এ সময় বিকাশ উভয় আত্মীয়কে বোরিংয়ের কাছে রেখে মোবাইলে কারো সাথে কথা বলার জন্য ইন্দ্রপুরা বধারে যায়। পুলিশের দাবি, সেই সময় সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তার আত্মীয়স্বজনদের এই হত্যার কোনো খবরই পায়নি। উভয়েরই জানা ছিল না যে বিকাশ কখন ও কীভাবে সেখান থেকে চলে গেছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে, সন্দেহের তীর আত্মীয়স্বজনের দিকে
এই পুরো ঘটনায় পুলিশ মৃতের মামাতো ভাই ও জেঠামশাইয়ের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা, হত্যার কারণগুলি আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যাবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাম কল্যাণ যাদব ও এসআই নীতিশ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো টিম নিয়ে তদন্ত করেছেন। এসআই নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, ডিআইইউ (ডিটেকটিভ ইনভেস্টিগেশন ইউনিট)-এর টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে এবং ঘটনাস্থল সংক্রান্ত সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে করা হচ্ছে
পুলিশ এটাও বলছে যে এটি কেবল সাধারণ হত্যার ঘটনা নয়, এতে আরও অনেক দিক থাকতে পারে, যা তদন্তের সময় উন্মোচিত হতে পারে। পুলিশ দাবি করেছে যে এই ঘটনার তদন্ত প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও করা হচ্ছে। এফএসএল টিম ঘটনাস্থল থেকে সকল প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং এখন তার পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, শীঘ্রই অপরাধীকে ধরা হবে এবং ঘটনার সমাধান হবে।
ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি
এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি যে বিকাশ কুমারের হত্যার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে। এটি কি কোনো পুরানো বিরোধ ছিল, নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। এখন পুলিশের মনোযোগ কোনো দিকই উপেক্ষা না করে প্রতিটি সম্ভাব্য দিক থেকে তদন্ত করার উপর।
এই ঘটনায় নতুন তথ্য পাওয়া মাত্রই পুলিশ তৎক্ষণাৎ মাধ্যম এবং জনগণের সাথে শেয়ার করবে। যদি আপনার কাছে এই ঘটনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকে, তাহলে আপনি নিকটবর্তী থানার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ঘটনাটি যেমনভাবে এগোচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং শীঘ্রই ঘটনার উন্মোচন হবে।