৮ মে সোনার দাম लगাতার বেড়েছে। এফওএমসি হার অপরিবর্তিত রেখেছে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি এবং ট্যারিফ নীতি থেকে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ব্যবসায়িক আলোচনা উত্থান সীমাবদ্ধ করেছে।
সোনার দাম: সোনার দামে लगাতার বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ৮ মে ২০২৫ এও এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় ফিউচার্স বাজারে সোনার দামে হালকা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এর প্রধান কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ, যা মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তার পর আরও তীব্র হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব
ফেডারেল রিজার্ভ ৭ মে তাদের নীতি সভা শেষে সুদের হারে কোন পরিবর্তন আনেনি, তবে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। পাওয়েল স্পষ্ট করে বলেছেন যে যদিও মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে অস্থিরতা বিদ্যমান।
পাওয়েলের মতে, বর্তমান ট্যারিফ নীতিগুলি পূর্বের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্টতা নেই। এ কারণেই বিনিয়োগকারীরা এখন নিরাপদ বিকল্প, অর্থাৎ সোনার দিকে ঝুঁকছে, যার ফলে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্লোবাল বাণিজ্য আলোচনা এবং ডলারের প্রভাব
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডে এই সপ্তাহে উভয় দেশের কর্মকর্তারা বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এতে বাজারে আশা করা হচ্ছে যে কোনও ইতিবাচক সমাধান বের হতে পারে। তবে, ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সোনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে থাকবে।
অন্যদিকে, ডলার সূচকে ওঠানামা এবং মার্কিন শেয়ার বাজারে অবনতি সোনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
ভারতে সোনার দামে হালকা বৃদ্ধি
ভারতে এমসিএক্স-এ গোল্ড জুন কন্ট্রাক্ট ০.১১% বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭,২০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে লেনদেন হচ্ছে। বিনিয়োগকারী এবং ক্রেতাদের জন্য এটি একটি ইঙ্গিত যে যদি বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকে, তাহলে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে।