গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে ১০টির মধ্যে ৬টি কোম্পানির বাজার মূলধন ১.৭১ লক্ষ কোটি টাকা কমেছে, যার মধ্যে ইনফোসিস এবং TCS সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেয়ার: গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে তীব্র ধস নেমে এসেছে, যেখানে BSE সেনসেক্স ৭৫৯.৫৮ পয়েন্ট অথবা ০.৯৮% কমেছে, অন্যদিকে নিফটি ২২৮.৩ পয়েন্ট অথবা ০.৯৭% নেমেছে। এই ধসের প্রভাব দেশের শীর্ষ ১০টি কোম্পানির উপরও পড়েছে, যার মধ্যে ৬টি কোম্পানির বাজার মূলধন ১.৭১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।
ইনফোসিস সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
আইটি সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি ইনফোসিস সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কোম্পানির বাজার মূলধন ৬২,৯৪৮.৪ কোটি টাকা কমে ৭,৫৩,৬৭৮.৩৮ কোটি টাকা হয়েছে। শুক্রবার তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশের পর মুনাফা বুঝে নেওয়ার প্রবণতার কারণে ইনফোসিসের শেয়ার প্রায় ৬% কমেছে।
অন্যদিকে, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS)-এর বাজার মূল্য ৫০,৫৯৮.৯৫ কোটি টাকা কমে ১৪,৯২,৭১৪.৩৭ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
অন্যান্য কোম্পানির বাজার মূলধনও কমেছে
হিন্দুস্তান ইউনিলিভার: বাজার মূলধন ২০,৬০৫.৯২ কোটি টাকা কমে ৫,৫৩,১৫২.৫২ কোটি টাকা হয়েছে।
ICICI ব্যাংক: বাজার মূলধন ১৬,০০৫.৮৪ কোটি টাকা কমে ৮,৬৫,৪৯৫.১৭ কোটি টাকা হয়েছে।
HDFC ব্যাংক: বাজার মূলধন ১৫,৬৪০.৮ কোটি টাকা কমে ১২,৫১,৭৯৯.৮১ কোটি টাকা হয়েছে।
ITC: বাজার মূল্য ৫,৮৮০.৫১ কোটি টাকা কমে ৫,৫০,৭০২.৯৩ কোটি টাকা হয়েছে।
কিছু কোম্পানির বাজার মূলধন বেড়েছে
এই ধসের মধ্যেও কিছু কোম্পানি তাদের বাজার মূলধন বাড়াতে সক্ষম হয়েছে:
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ: ৭৯,৭৭৩.৩৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাজার মূলধন হয়েছে ১৭,৬০,৯৬৭.৬৯ কোটি টাকা।
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI): বাজার মূলধন ১৮,৬৯৭.০৮ কোটি টাকা বেড়ে মোট বাজার মূল্য হয়েছে ৬,৮১,৯৩০.২২ কোটি টাকা।
ভারতীয় জীবন বীমা নিগম (LIC): মূল্যায়ন ৯,৯৯৩.৫ কোটি টাকা বেড়ে ৫,৪০,৭২৪.০৫ কোটি টাকা হয়েছে।
ভারতী এয়ারটেল: বাজার মূলধন ৭,০৮০.৯৮ কোটি টাকা বেড়ে ৯,২৭,০১৪.৯৭ কোটি টাকা হয়েছে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের আধিপত্য অব্যাহত
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে অবস্থান বজায় রেখেছে। শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় এর পরে TCS, HDFC ব্যাংক, ভারতী এয়ারটেল, ICICI ব্যাংক, ইনফোসিস, SBI, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, ITC এবং LIC রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আইটি এবং ব্যাংকিং সেক্টরে সাম্প্রতিক ধস মুনাফা বুঝে নেওয়া এবং বিশ্ব বাজারের অস্থিরতার কারণে হয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলিতে বাজারের অবস্থার উন্নতির আশা করা হচ্ছে।
