ভারত ও পাকিস্তানের উর্ধ্বগামী উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। সেনসেক্স ৭৯,০০০-এর নিচে নেমে গেছে, রিলায়েন্স, টাটা সহ অন্যান্য প্রধান কোম্পানির শেয়ারের দামেও হ্রাস পেয়েছে।
India-PAK Conflict: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা গেছে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। শুক্রবার বাজার খোলার সাথে সাথেই সেনসেক্স ও নিফটি উভয়েরই তীব্র হ্রাস দেখা গেছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE)-এর সেনসেক্স ৭৮,৯৬৮-এ নেমে গেছে, অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)-এর নিফটি প্রায় ২০০ পয়েন্ট কমে লেনদেন হয়েছে। এ সময় টাটা ও রিলায়েন্স-এর মতো প্রধান কোম্পানির শেয়ারও লাল নিশানে ছিল।
গ্লোবাল সংকেতের প্রভাব নেই, বাজারে হ্রাস
যদিও গ্লোবাল মার্কেট থেকে ইতিবাচক সংকেত পাওয়া গেছে, যেমন জাপানের নিক্কেই ও গিফ্ট নিফটিতে বৃদ্ধি দেখা গেছে, তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার বিপরীত প্রভাব পড়েছে ভারতীয় বাজারে। সেনসেক্স তার পূর্ববর্তী বন্ধের তুলনায় ৮০,৩৩৪.৮১ থেকে নেমে ৭৮,৯৬৮-এ পৌঁছেছে। তবে কিছুক্ষণ পর বাজারে কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং সেনসেক্স ৭৯,৬৩৩-এ ফিরে এসেছে।
অন্যান্যের তুলনায় প্রতিরক্ষা কোম্পানির শেয়ারে বৃদ্ধি
শেয়ার বাজারে এই হ্রাসের মধ্যে কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান শেয়ারের মধ্যে টাইটান কোম্পানি, এল অ্যান্ড টি, ভারত ইলেক্ট্রনিক্স ও ডঃ রেড্ডি ল্যাবসের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড, অদানি পোর্টস, অদানি এন্টারপ্রাইজেস ও এশিয়ান পেইন্টসের শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে।
দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এমন শেয়ার
এই হ্রাসের মধ্যে অনেক প্রধান কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার ৩% কমেছে, অন্যদিকে আইসিআইসিআই ব্যাংক, এইচইউএল, রিলায়েন্স ও এইচডিএফসি ব্যাংকের শেয়ারও কমে লেনদেন হয়েছে। মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ কোম্পানির শেয়ারের দামেও হ্রাস পেয়েছে, যার মধ্যে ইন্ডিয়ান হোটেল, আরভিএনএল, এনএইচপিসি ও ইউসিও ব্যাংকের মতো শেয়ার অন্তর্ভুক্ত। মুথুট ফাইনান্সের শেয়ারের দাম ১০%-এর বেশি কমেছে।
গতকালও হয়েছিল তীব্র হ্রাস
বৃহস্পতিবারও বাজারে উত্থান-পতন দেখা গেছে। যখনই পাকিস্তানে ড্রোন আক্রমণের খবর এসেছে, সেনসেক্স ও নিফটি তীব্রভাবে কমে গেছে। সেনসেক্স ৪১১.৯৭ পয়েন্ট কমে ৮০,৩৩৪.৮১-এ বন্ধ হয়েছে, অন্যদিকে নিফটিও ১৪০.৬০ পয়েন্ট কমে ২৪,২৭৩.৮০-এ বন্ধ হয়েছে। এই আকস্মিক হ্রাসের ফলে বিনিয়োগকারীদের ৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।