২০২৫ অর্থবর্ষ: শেয়ার বাজারের উঠানামা, সোনার ঊর্ধ্বগতি ও রুপির নরমতা

২০২৫ অর্থবর্ষ: শেয়ার বাজারের উঠানামা, সোনার ঊর্ধ্বগতি ও রুপির নরমতা
সর্বশেষ আপডেট: 29-03-2025

২০২৫ অর্থবর্ষে শেয়ার বাজারে উঠানামা, সেনসেক্স-নিফটিতে হালকা বৃদ্ধি, সোনা ৩৭.৭% বেড়েছে। রুপিতে ২.১% নরমতা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়ের চাপে বাজার।

সোনা ও শেয়ার: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বিনিয়োগকারীদের জন্য ইকুইটি বাজার উঠানামাপূর্ণ ছিল। বছরের প্রথমার্ধে শেয়ার বাজার চমৎকার কর্মক্ষমতা দেখিয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বব্যাপী এবং দেশীয় কারণে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। এই সময় বেঞ্চমার্ক নিফটি ৫.৩% এবং সেনসেক্স ৭.৫% বেড়েছে, যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় দুর্বল কর্মক্ষমতা। নিফটি মিডক্যাপ ইন্ডেক্স ৭.৫% এবং স্মলক্যাপ ইন্ডেক্স ৫.৪% বৃদ্ধি নিয়ে বন্ধ হয়েছে। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় বাজারে চাপ সৃষ্টি করেছে।

সোনার দামে ঐতিহাসিক ঊর্ধ্বগতি

এই অর্থবর্ষে সোনা বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক সম্পত্তি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা এবং নিরাপদ বিনিয়োগের সন্ধানে বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝুঁকেছে, যার ফলে এর দাম ৩৭.৭% বেড়ে প্রতি আউন্স ৩,০৭০ ডলারে পৌঁছেছে। ২০০৮ সালের পর থেকে এটি সোনার সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি। সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হলো ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির দ্বারা সোনার ক্রয় এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।

রুপিতে হালকা হ্রাস, কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্থিতিশীল

২০২৫ অর্থবর্ষে রুপি ২.১% হ্রাস পেয়েছে, যা গত বছরের ১.৫% হ্রাসের চেয়ে বেশি। তবে, বছরের প্রথম কয়েক মাসে রুপিতে দুর্বলতা দেখা গেছে, কিন্তু মার্চ মাসে বিদেশি বিনিয়োগ এবং শেয়ার বাজারের উন্নতির ফলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়

২০২৫ অর্থবর্ষে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPI) দ্বিতীয়ার্ধে ধারাবাহিকভাবে পাঁচ মাস বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। কোম্পানির আয় মন্দা এবং শেয়ারের উচ্চ দামের কারণে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কোম্পানির ফলাফল দুর্বল থাকার ফলে বিনিয়োগকারীদের ধারণা প্রভাবিত হয়েছে। তবে, বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ অর্থবর্ষে কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি এবং মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে স্পষ্টতা আসার ফলে বাজারে স্থায়িত্ব ফিরে আসতে পারে।

২০২৬ অর্থবর্ষের সম্ভাবনা

২০২৬ অর্থবর্ষের শুরুতে বাজার অস্থির থাকতে পারে, কিন্তু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উন্নতির আশা করা হচ্ছে। কোম্পানির আয় বৃদ্ধি, দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বর্ধিত আগ্রহ এবং বিশ্ববাজারের স্থায়িত্ব বাজারে নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এই বছর সুষম কৌশল গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

Leave a comment