RBI ব্যাংক এবং হোয়াইট লেবেল ATM অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে যে, সকল ATM-এ কমপক্ষে একটি ক্যাসেটে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট থাকা বাধ্যতামূলক হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ৭৫% এবং ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে ৯০% ATM-এ এই সুবিধা চালু হবে। এর ফলে মানুষেরা দৈনন্দিন ক্ষুদ্র অর্থ উত্তোলনে সুবিধা পাবেন।
১০০ এবং ২০০ টাকার নোট বাধ্যতামূলক
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ব্যাংক এবং হোয়াইট লেবেল ATM অপারেটর (WLAO)দের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেছে। এর অধীনে তাদের ATM-এ কমপক্ষে একটি ক্যাসেটে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট রাখা বাধ্যতামূলক হবে। গ্রাহকদের ক্ষুদ্র নোটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ATM মেশিনে সাধারণত চারটি ক্যাসেট থাকে, যেখানে বিভিন্ন মূল্যমানের নোট ভরা থাকে। RBI-র ইচ্ছা, এর মধ্যে কমপক্ষে একটি ক্যাসেট ১০০ বা ২০০ টাকার নোটের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
সময়সীমা: সেপ্টেম্বর ২০২৫ এবং মার্চ ২০২৬
RBI এই পরিকল্পনা দুটি ধাপে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে:
- প্রথম ধাপ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে সারা দেশের ৭৫% ATM-এ কমপক্ষে একটি ক্যাসেট থেকে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট উত্তোলন করা যাবে।
- দ্বিতীয় ধাপ: ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে ৯০% ATM-এ এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
এই নির্দেশের আগে অনেক ATM শুধুমাত্র ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটই প্রদান করত, যার ফলে ক্ষুদ্র লেনদেনকারী গ্রাহকদের অসুবিধা হত।
জনগণ কী লাভ পাবেন?
RBI-র মনে হয় যে, ক্ষুদ্র মূল্যমানের নোটের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করলে নগদ লেনদেন আরও সুবিধাজনক হবে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং আধা-শহরাঞ্চলে যেখানে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার সীমিত।
ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করবে এবং বাজারে ক্ষুদ্র নোটের সহজলভ্যতা বাড়াবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ট্যাক্সি চালক, সবজি বিক্রেতা এবং দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তায় নগদ লেনদেনকারী গ্রাহকরা এর সরাসরি লাভ পাবেন।
দেশে কতগুলি ATM আছে?
RBI-র প্রতিবেদনের মতে, মার্চ ২০২৪-এর মধ্যে ভারতে মোট ২.২০ লক্ষ ব্যাংক ATM এবং প্রায় ৩৬,০০০ হোয়াইট লেবেল ATM কাজ করছিল। এর অর্থ এই পরিকল্পনার প্রভাব অনেক ব্যাপক হবে।
ডিজিটাল পেমেন্ট সত্ত্বেও নগদের প্রয়োজন
যদিও UPI এবং অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে, তবুও নগদ লেনদেন বৃহৎ জনসংখ্যার জন্য প্রাথমিক বিকল্প হিসেবে রয়ে গেছে। RBI-র মতে, মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় রেখে ক্ষুদ্র নোটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।