উত্তর ভারতসহ দিল্লি-এনসিআরে আবহাওয়ার রূপ বদলে গেছে। তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই, যার ফলে গরমের প্রভাব আরও তীব্র হতে পারে। রাজস্থানে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পশ্চিম অঞ্চলে লু বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় আবহাওয়া উঠানামা ভরা থাকবে, যদিও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া: দিল্লি-এনসিআরে আবহাওয়া সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়েছে। সকালে হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে দিনে তীব্র রোদ উঠলে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই, যার ফলে শীতের বিদায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি ২৯ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
উত্তর প্রদেশের বেশিরভাগ এলাকায় আবহাওয়া পরিষ্কার রয়েছে। দিনের বেলায় ভালো রোদ উঠলেও তীব্র বাতাসের প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। তবে, ফেব্রুয়ারি মাসে কানপুর, লখনউ, আগ্রা, আলিগড়, জৌনপুর, বারাণসী, প্রয়াগরাজ, বেরেলি, দেওরিয়া, ঝাঁসি, মেরঠ এবং সাহারানপুরে পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহের প্রভাব দেখা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলগুলিতে আবহাওয়ার উঠানামা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজস্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা
রাজস্থানে শনিবারের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল, যেখানে শিকর জেলার ফতেহপুর ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সাথে সবচেয়ে ঠান্ডা স্থান ছিল। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, করৌলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৩ ডিগ্রি, দৌসায় ৪.৬ ডিগ্রি এবং মাউন্ট আবুতে ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুরুতে ৫.৬ ডিগ্রি এবং লুণকরণসারে ৫.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল।
শিকরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি, ডবোকে ৬.৬ ডিগ্রি, চিত্তৌড়গড়ে ৬.৭ ডিগ্রি, আন্তায় ৬.৯ ডিগ্রি, নাগৌরে ৭.১ ডিগ্রি, বনস্থলীতে ৭.৩ ডিগ্রি এবং রাজধানী জয়পুরে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে।
হরিয়ানা-পাঞ্জাবে কেমন থাকবে আবহাওয়া?
হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে আবহাওয়ার উঠানামা অব্যাহত রয়েছে। আজ অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহের কারণে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু আজ আবহাওয়া প্রায় পরিষ্কার রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৃষ্টিপাত পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে। ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় রাজ্যেই মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে, তীব্র পশ্চিমা বাতাসের মাঝে দিনের বেলায় রোদ উঠলে শীত এবং গরম উভয়েরই অনুভূতি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক এবং বাসিন্দাদের জন্য এই আবহাওয়ার পরিবর্তন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
পাহাড়ে বরফপাতের সতর্কতা
হিমাচল প্রদেশের উচ্চাঞ্চলে বরফপাতের জন্য ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শিমলা, কুল্লু, কিন্নৌর, লাহৌল ও স্পিতি এবং চম্বা জেলায় বরফপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েকদিনে কোঠিতে ৩৩ সেমি, গোন্দলায় ১১ সেমি, কেলাঙ্গে ৯ সেমি, কুকুমসেরীতে ৮.৩ সেমি, ভরমৌরে ৮ সেমি, মানালিতে ৭.৪ সেমি, জোটে ৬ সেমি, কল্পায় ৫.১ সেমি এবং শিলাড়ু ও খদ্রালায় ৫ সেমির কাছাকাছি বরফপাত হয়েছে।
এছাড়াও শিমলা শহরে বরফের তুষারপাতও রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, চম্বা, কাংড়া এবং সোলান জেলায় ঝড় এবং বজ্রপাতের জন্য ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, একটি নতুন পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহ উত্তর-পশ্চিম ভারতকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে রাজ্যের আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানুন আপনার শহরের তাপমাত্রা
শহর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (°C) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (°C)
দিল্লি ১০ ২৬
নয়ডা ১১ ২৫
গাজিয়াবাদ ১১ ২৫
পাটনা ১৩ ২৪
লখনউ ০৯ ২৭
জয়পুর ১১ ২৬
ভোপাল ১৪ ২৯
মুম্বই ২২ ৩৫
দরভঙ্গা ১৫ ৩২
জম্মু ০৮ ২০
প্রয়াগরাজ ১০ ২৭
কলকাতা ১৬ ২৮
আহমেদাবাদ ১৬ ৩৪
```