উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেছেন যে, সংসদই সর্বোচ্চ, সাংসদরা সংবিধানের চূড়ান্ত অধিকারী এবং ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রীকে জনতা জবাবদিহি করেছিল।
নয়াদিল্লি: বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করার পর থেকে দেশের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। এই বিতর্কে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের একটি বড়ো ও স্পষ্ট বক্তব্য সামনে এসেছে, যেখানে তিনি সংসদকে দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বলে ঘোষণা করেছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন, "সংসদই সর্বোচ্চ এবং সাংসদরাই সংবিধানের চূড়ান্ত অধিকারী, তাদের চেয়ে উপরে কোনও কর্তৃপক্ষ থাকতে পারে না।"
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থার উদাহরণ
ধনখড় ১৯৭৭ সালের ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন, “যে প্রধানমন্ত্রী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, তাকে জনতা নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহি করেছে। এটিই প্রমাণ করে যে সংবিধান জনগণের এবং তার রক্ষা করা সংসদের দায়িত্ব।”
সাংসদরা হলেন সংবিধানের চূড়ান্ত রক্ষাকারী
ধনখড় আরও বলেছেন, “নির্বাচিত সাংসদরাই সংবিধানের প্রকৃত রক্ষাকারী। সংবিধানে কোথাও বলা হয়নি যে সংসদের চেয়ে উপরে আর কোনও সংস্থা থাকতে পারে। সংসদের সার্বভৌমত্বের নীতি কেবল আইনগত নয়, বরং গণতন্ত্রের আত্মাও।”
কেন বিতর্ক?
উল্লেখ্য, এই বক্তব্যের সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে কারণ কয়েকদিন আগেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সুপ্রিম কোর্টের সেই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন যেখানে ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। দুবে বলেছিলেন, "যদি সব সিদ্ধান্ত আদালতই করে, তাহলে সংসদ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।"
